সুরগণ শ্রেষ্ঠ তুমি ধর্ম্ম মহামতি।
এরপ ব্যাভার কেন অবলার প্রতি॥
তোমার উচিত কভু না হয় এমন।
ছাড় ছাড় পথ করি স্বস্থানে গমন॥ ..
পু দয়া ছাড়া ধর্ম্ম বল আছে কোন খানে।
যেখানেতে দয়া দেখ ধর্ম্ম সেইখানে॥
অতএব কেন কর এমন ভাবনা।
দয়া ছাড়া ধর্ম্ম প্রিয় কখন হবে না॥
দয়া হীনে ধর্মের নাহিক হয় গতি।
দয়া ধর্ম্ম দুয়ে হয় একাধারে স্থিতি॥
কা। শপথ করিতে যদি পার মহাশয়।
তবে সে আমার ইথে হইবে প্রত্যয়॥
যেখানেতে রব আমি সেইখানে রবে।
তিলেক তিলার্দ্ধ নাহি ছাড়াছাড়ি হবে॥
তুমি ধর্ম্মরাজ হও সত্যের আশ্রয়।
ত্রিসত্য করিলে পরে ঘুচিবে সংশয়॥..
দুই জনে সত্য বন্ধ করি হেন মতে।
পারিজাত হার ছিল দোঁহার সনেতে॥
আপন আপন করে লইয়ে আপন।
উভয়ে উভয় গলে করিল অর্পণ॥
হেন কালে আচম্বিতে নিদ্রাভঙ্গ হলো।
কিছু নাহি জানিলাম পরে কি ঘটিল॥
‘চিত্তবিলাসিনীর’ প্রকাশকাল হইতে পরবর্তী দশ বৎসরের মধ্যে (১৮৫৬-৬৬) আমরা আরও সাতজন গ্রন্থকর্ত্রীর সন্দর্শন পাই।(৩) ইঁহাদের নাম ও রচনা:[১]
- ১। বামাসুন্দরী দেবী (পাবনা): ‘কি কি কুসংকার তিরোহিত হইলে এদেশের শ্রীবৃদ্ধি হইতে পারে।’ ৪ বৈশাখ ১৭৮৩ শক (ইং ১৮৬১)। পৃ. ২০।
- ↑ General Report on Public Instruction .. for 1865-666 (p. 111) and 1866-67 (p. 82)