১৮৫৯ সনে, আট বৎসর বয়সে, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় পুত্র সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত জ্ঞানদানন্দিনীর বিবাহ হয়। স্বামীর উৎসাহ ও নিজের যত্ন-চেষ্টায় জ্ঞানদানন্দিনী নিজেকে সুশিক্ষিতা করিয়া তুলিয়াছিলেন। বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁহার আন্তরিক অনুরাগ ছিল। পুরাতন ‘ভারতী’র পৃষ্ঠায় মুদ্রিত তাঁহার এই কয়টি রচনার সন্ধান পাওয়া গিয়াছে:
শ্রাবণ, ১২৮৮: ইংরাজ-নিন্দা ও দেশানুরাগ | |||
আশ্বিন, ১২৮৮: স্ত্রী-শিক্ষা | |||
অগ্রহায়ণ, ১২৮৮: কিণ্টারগার্টেন। | |||
মাঘ-চৈত্র ১২৯০; | ভাউ সাহেবের বখর | ||
বৈশাখ-আষাঢ়-শ্রাবণ- | |||
আশ্বিন ১২৯১ | (মরাঠী হইতে অনূদিত) |
জ্ঞানদানন্দিনীর নিকট হইতে আমরা দুইখানি সুলিখিত শিশুপাঠ্য পুস্তক লাভ করিয়াছি; সেগুলি:
- ১ টাক্ ডুমা ডুম্ ডুম্ (নাটিকা): (৬-৬-১৯১০)। পৃ ১৭।
- ২ সাত ভাই চম্পা (নাটিকা): (২৬-১২-১৯১১)। পৃ ৫২।
১৩৪৮ সালের ১৫ই আশ্বিন, ৯০ বৎসর বয়সে, জ্ঞানদানন্দিনী পরলোকগমন করিয়াছেন।
শরৎকুমারী চৌধুরাণী। শরৎকুমারীর জন্ম ১৮৬১ সনের ১৫ই জুলাই। তাঁহার পিতার নাম শশিভূষণ বসু (কলিকাতা চোরবাগানের বসু-বংশজাত); তিনি ১৮৬৩ সনে চাকুরী উপলক্ষে সুদূর লাহোরে গমন করিয়াছিলেন। শরৎকুমারীর শৈশব লাহোরেই কাটে। ১৮৭১ সনের ১২ই মার্চ আন্দুলের বিখ্যাত চৌধুরী-বংশের অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীর সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। অক্ষয়চন্দ্র সুকবি ছিলেন; স্বামীর ন্যায় শরৎকুমারীও মাতৃভাষার পরম অনুরাগিণী ছিলেন। পুরাতন সাময়িক-পত্রের পৃষ্ঠা অন্বেষণ করিলে তাঁহার বহু রস-রচনার সন্ধান মিলিবে। তাঁহার প্রথম রচনা ‘কলিকাতার স্ত্রীসমাজ’ ১২৮৮ সালের ভাদ্র ও কার্তিক-সংখ্যা ‘ভারতী’তে প্রকাশিত হয়। এক মাত্র ‘শুভবিবাহ’ (মার্চ ১৯০৬) ছাড়া শরৎকুমারীর আর কোনো রচনা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় নাই। এই সামাজিক চিত্রখানি বঙ্গসাহিত্যে লেখিকাকে একটি