এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বঙ্গসাহিত্যে নারী
১৫
উকীল, ডেপুটি কেহ, কেহ বা মাষ্টার,
সব্জজ কেরাণী কেহ, ওভারসিয়ার,
বড় কর্ম্ম বড় মান, অহঙ্কার কত
ধরারে দেখেন বাবু সরাখানা মত।
সারা দিন খেটে খেটে, রক্ত উঠে মুখে
পেগের বড়াই হয় ঘরে এসে সুখে।”
আমরা মোক্ষদায়িনীর রচিত এই তিনখানি গ্রন্থের সন্ধান পাইয়াছি:
- ১ বন-প্রসূন (কাব্য)। ইং ১৮৮২।
- ২ সফল স্বপ্ন (ইতিবৃত্তমূলক উপন্যাস)। ইং ১৮৮৪ (১২ ডিসেম্বর)। পৃ ১৬৯।
- ৩ কল্যাণ-প্রদীপ (জীবনী)। অগ্রহায়ণ ১৩৩৫ (ইং ১৯২৮)। পৃ ৪২৯।
গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী। ইহার জন্ম ১৮৫৮ সনের ১৮ই আগস্ট। পিতার নাম হারাণচন্দ্র মিত্র। দশ বৎসর বয়সে গিরীন্দ্রমোহিনীর বিবাহ হয়। তাঁহার স্বামী নরেশচন্দ্র দত্ত, বউবাজার-নিবাসী অক্রূর দত্তের প্রপৌত্র দুর্গাচরণের কনিষ্ঠ পুত্র। ১৮৮৪ সনে গিরীন্দ্রমোহিনীর বৈধব্য ঘটে। তিনি দ্বাদশ বর্ষ হইতেই কবিতারচনায় হস্তক্ষেপ করেন। তাঁহার রচিত ‘অশ্রুকণা’ বাংলা-সাহিত্যে তাঁহাকে প্রতিষ্ঠা দান করিয়াছিল। গিরীন্দ্রমোহিনীর গ্রন্থগলির তালিকা।
- ১ জনৈক হিন্দুমহিলার পত্রাবলী: (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৭২)। পৃ ১৭।
- ২ কবিতাহার (কাব্য): ২৯ মাঘ ১২৭৯ (ইং ১৮৭৩)। পৃ ৩৯।
- ৩ ভারত-কুসম (কাব্য): ১ কার্তিক ১২৯৯ (ইং ১৮৮২)। পৃ ৮৮।
- ৪ অশ্রুকণা (কাব্য): ১২৯৪ সাল (ইং ১৮৮৭)।
- ৫ আভাষ (কাব্য): ১২৯৭ সাল (৫-৪-১৮৯০)। পৃ ১৪১।
- ৬ সন্ন্যাসিনী বা মীরাবাই (ঐতিহাসিক নাট্যকাব্য): ১ কার্তিক ১২৯৯ (ইং ১৮৯২)। পৃ ১০৩।
- ৭ শিখা (কাব্য): ১৩০৩ সাল (২৮-৪-১৮৯৬)। পৃ ১৫৮।
- ৮ অর্ঘ্য (কাব্য): ১৩০৯ সাল (১০-৯-১৯০২)। পৃ ৮২।
- ৯ স্বদেশিনী (কাব্য): ১৩১২ সাল (২৫-২-১৯০৬)। পৃ ২৭।