এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
বঙ্গসাহিত্যে নারী
সেবায় নিয়োজিত করিয়াছিলেন। তাঁহার রচিত পুস্তকগুলির কালানুক্রমিক তালিকা দিতেছি; তিনি কোনো পুস্তকেই নিজ নাম প্রকাশ করেন নাই:
- ১ স্নেহলতা (সামাজিক উপন্যাস): ১১ মাঘ ১২৯৬ (২৭-২-১৮৯০)। পৃ ১৯২।[১] “কোন মহিলা কর্তৃক প্রণীত।”
- ২ প্রেমলতা (সামাজিক উপন্যাস): ১১ আশ্বিন ১২৯৯ (ইং ১৮৯২)। পৃ ২৬৮।
- ৩ প্রসূনাঞ্জলি (সন্দর্ভাবলী): ১৩০৭ সাল। (৩০-৯-১৯০০)। পৃ ২৭+১৬।
- ৪ শান্তিলতা (উপন্যাস): (২৭-৯-১৯০২)। পৃ ২৫৭।
- ৫ লুৎফ-উন্নিসা (ঐতিহাসিক উপন্যাস): ১৩১২ সাল (৩-৯-১৯০৫)। পৃ ২০০।
কুসুমকুমারীর পুস্তকগুলি[২] সুধীসমাজে বিশেষভাবে আদৃত হইয়াছিল। ‘স্নেহলতা’-পাঠে বিদ্যাসাগর মহাশয় এইরপ অভিমত প্রকাশ করেন:
“সমাজচরিত্র জানিবার পক্ষে ইহা একখানা সুন্দর গ্রন্থ। স্বাধীন রাজ্য হইলে ইহার পঞ্চবিংশতি সংস্করণ হইত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না।
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র ‘প্রেমলতা’ পাঠ করিয়া লিখিয়াছিলেন:
“আমার বিবেচনায় গ্রন্থখানি যত দূর উৎকৃষ্ট হইতে পারে, তাহার ত্রুটি হয় নাই। প্রত্যেক পরিবারে এক একখানা প্রেমলতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
১৩২২ সালের ভাদ্র মাসে কুসমকুমারী দেবীর মত্যু হইয়াছে।[৩]
বিনয়কুমারী বসু (ধর)। ১৮৭২ সনের নবেম্বর মাসে বিনয়কুমারীর জন্ম। তাঁহার পিতা কাশীচন্দ্র বসু; মাতা ললিতমণি বসু, ব্যারিস্টার
- ↑ স্বর্ণকুমারী দেবী ‘ভারতী ও বালকে’র পৃষ্ঠায় ‘স্নেহলতা’ নামে একখানি উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করিতেছিলেন। কুসুমকুমারী দেবীর ‘স্নেহলতা’ বাহির হইলে স্বর্ণকুমারী তাঁহার উপন্যাসখানির নাম পরিবর্তন করিয়া ‘পালিতা’ রাখেন (‘ভারতী ও বালক’ বৈশাখ ১২৯৭ দ্রষ্টব্য)।
- ↑ ইণ্ডিয়া আপিস লাইব্রেরিতে ১৮৭৮ সনে বরিশাল হইতে প্রকাশিত “কুসমকুমারী”-রচিত ‘কুসুমিকা’ নামে একখানি ক্ষুদ্র কাব্য আছে। ইনি ও কুসুমকুমারী দেবী অভিন্ন বলিয়া মনে হয়।
- ↑ দ্র° ‘ভারতবর্ষ, আশ্বিন ১৩২২।