মনোমোহন ঘোষের জ্যেষ্ঠ সহোদরা। ১৩০০ সালের অগ্রহায়ণ মাসে ডাক্তার ভারতচন্দ্র ধরের সহিত বিনয়কুমারীর বিবাহ হয়; এই বৎসরের অগ্রহায়ণ সংখ্যা ‘সাহিত্যে’ ইঁহার নামের শেষে ‘বসু’ আছে, কিন্তু পৌষ-সংখ্যায় ‘ধর’ দেখিতেছি। তিনি বেথুন কলেজের এক জন প্রাক্তন ছাত্রী; বারো-তেরো বৎসর বয়স হইতেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১২৯৫ সালের মাঘ-সংখ্যা ‘ভারতী ও বালকে’ তাঁহার একটি প্রাথমিক রচনা— “জাগো (বালিকার রচনা)” স্থান পাইয়াছিল। বিনয়কুমারীর কবিতা ‘সাহিত্য’, ‘ভারতী’, ‘দাসী’, ‘প্রদীপ’ প্রভৃতি মাসিকপত্রে সাদরে স্থান লাভ করিত। আমরা তাঁহার দুইখানি কাব্যের উল্লেখ পাইয়াছি; উহা:
- ১ নব মকুল (কাব্য): (৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৭)। পৃ ৯০।
- ২ নির্ঝর (কাব্য): (১১ সেপ্টেম্বর ১৮৯১)। পৃ ১০২।
প্রমীলা বসু (নাগ)। ১৮৭১ সনে প্রমীলার জন্ম। তাঁহার পিতা বিজয়চন্দ্র বসু; মাতা লালমণি বসু, মনোমোহন ঘোষের কনিষ্ঠা সহোদরা। ইঁহার পিত্রালয় বিক্রমপুর। ১২৯৭ সালে বিলাত-ফেরত ডাক্তার গঙ্গাকান্ত নাগের সহিত প্রমীলার পরিণয় হয়।[১] অতি অল্প বয়সেই ইঁহার কাব্য প্রতিভা স্ফূরিত হয়। ১২৯৩ সাল হইতে ইঁহার রচিত কবিতা ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’, ‘ভারতী’, ‘নব্যভারত’, ‘সাহিত্য’ (১২৯৮-১৩০০, ১৩০৪-৫), ‘প্রতিমা’ প্রভৃতি সে যুগের শ্রেষ্ঠ পত্রিকায় স্থান লাভ করিয়াছিল। প্রমীলার এই দুইখানি কাব্যগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে:
- ১ প্রমীলা (কাব্য): জ্যৈষ্ঠ ১২৯৭ (ইং ১৮৯০)। পৃ ১২৫।
- ২ তটিনী (কাব্য): ইং ১৮৯২। পৃ ১৪৮।
১৩০৩ সালে প্রমীলা অকালে পরলোকগমন করেন।[২]
কৃষ্ণভাবিনী দাস। আনমোনিক ১৮৬৪ সনে বহরমপুরের অন্তর্গত কাজলা গ্রামে এক জমিদার-গহে কৃষ্ণভাবিনীর জন্ম হয়। দশ বৎসর বয়সে বউবাজার-নিবাসী শ্রীনাথ দাসের পুত্র—‘সেঞ্চুরী কলেজ’-প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার দেবেন্দ্রনাথ দাসের সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। ইনি স্বামীর সহিত