ইহা ছাড়া তিনি ভাগবতের সারাংশ লইয়া ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণলীলামৃত ’(ইং ১৯৩২) ও পরে ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণকেলিরসালাপ’ (১৩৪১), ‘শ্রীশ্রীরামকীর্ত্তি সুধা’, ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণের সহস্র নাম’ প্রভৃতি কবিতাগ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। ১৯৪৬ সনের ১লা জানয়োরি তারিখে অম্বুজাসুন্দরীর মৃত্যু হইয়াছে।
মৃণালিনী সেন। ১৮৭৯, ৩রা আগস্ট মৃণালিনী জন্মগ্রহণ করেন। ইঁহার পিতা ডাক্তার লাড্লিমোহন ঘোষ। ইনি ১৩ বৎসর বয়সে পাইকপাড়ার ভূম্যধিকারী ইন্দ্রচন্দ্র সিংহের সহিত পরিণীতা হন। বিবাহের দুই বৎসর পরে ইঁহার বৈধব্য ঘটে। স্বামি-বিয়োগ-বিধুর অবস্থায় মৃণালিনী কাব্য চর্চায় প্রবৃত্ত হন। তাঁহার নিকট হইতে আমরা এই চারিখানি কাব্যগ্রন্থ লাভ করিয়াছি:
- ১ প্রতিধ্বনি (কাব্য): ১৩০১ সাল (১০-৮-১৮৯৪)। পৃ ১৮৪।
- ২ নির্ঝরিণী (কাব্য): ১৩০২ সাল (৭-৫-১৮৯৫)। পৃ ১৬৩।
- ৩ কল্লোলিনী (গীতিকাব্য): ১৩০৩ সাল (ইং ১৮৯৬)। পৃ ২৩৭।
- ৪ মনোবীণা (কাব্য): মাঘ ১৩০৬ (২৪-৪-১৯০০)। পৃ ২৫৯।
১৯০৫ সনে ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের দ্বিতীয় পুত্র নির্মলচন্দ্র সেনের সহিত মৃণালিনীর বিবাহ হয়। ইনি স্বামীর সহিত বহু দিন বিলাতে কাটাইয়াছেন। নারীপ্রগতিমূলক বহু কার্যে ইঁহার নাম যুক্ত দেখা যায়।
সরোজকুমারী দেবী। ইনি সুপ্রসিদ্ধ সাহিত্যিক নগেন্দ্রনাথ গুপ্তের ভগিনী। ইঁহার জন্ম ৪ নবেম্বর ১৮৭৫ তারিখে। দশ বৎসর বয়সে (ইং ১৮৮৬) কলুটোলার সেন-বংশীয় যোগেন্দ্রনাথ সেনের সহিত ইঁহার বিবাহ হয়; যোগেন্দ্রনাথ সম্বলপরের গভর্নমেণ্ট উকীল ছিলেন। সরোজকুমারী বিবাহের পর নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন। ১২৯৫ সাল হইতে তিনি ‘ভারতী’তে ও ১২৯৭ সাল হইতে ‘সাহিত্যে’ লিখিতে শুরু করেন। তাঁহার রচিত এই কয়খানি গ্রন্থের সন্ধান মিলিয়াছে:
- ১ হাসি ও অশ্রু (কাব্য): মাঘ ১৩০১ (ইং ১৮৯৫)। পৃ ২৯৫।
- ২ অশোকা (কাব্য): ১৩০৮ সাল (৬-৭-১৯০১)। পৃ ২৭৪।
- ৩ কাহিনী বা ক্ষুদ্র গল্প: ১৩১২ সাল (৩০-১১-১৯০৫)। পৃ ৩১৬।
- ৪ শতদল (কাব্য): (২ ৬-৯-১৯১০)। পৃ ১০২।