সঙ্গে তাঁর মতের মিল হয় নি। তার উল্লেখ করে “গরীব বিদষকের” পক্ষ নিয়ে তাঁর সরস লেখনী দুই এক ছত্রে কি হাস্যের ছটাই তুলেছিল। তাই বলছি তাঁর চিঠিখানি ছিল একটি সাহিত্যিক ক্ষুদ্র রসকুম্ভ।”
সরলা দেবীর বাংলা পুস্তক-পুস্তিকার সংখ্যা খবই কম। তিনি নিজেই জীবনস্মৃতিতে বলিয়াছেন:
“আজ পর্যন্ত আমার সব লেখাই প্রায় ‘ভারতী’র পৃষ্ঠাতেই নিবদ্ধ এবং গানগুলি আমার খাতায় বা গায়কদের মখে মুখে। আমার লেখা-কুমারীরা মাসিকে সাপ্তাহিকে দৈনিকে ছাপাসুন্দরী হয়েছে কিন্তু গ্রন্থের ঘরণী হয় নি— মাত্র গুরুদাস চাটুয্যে কোম্পানীর আট আনার এডিশনে ছাপান ‘নববর্ষের স্বপ্ন’ নামে কতকগুলি ছোট গল্প, বড় বড় সভাসমিতিতে ভাষিত ইংরেজি ও বাঙ্গলা বক্তৃতা, ‘বঙ্গের বীর’ সিরিজের দুখানি পুস্তিকা ও ইদানীংকার দুয়েকটি আধ্যাত্মিক বিষয়ের বই ছাড়া। লাহোর থেকে দুএকবার আগেকার লেখাগুলি বই আকারে ছাপাবার চেষ্টা করে ব্যর্থশ্রম হয়েছি। ‘কবিমন্দির’ প্রভৃতি দুতিন ফর্মা ছেপে, প্রেসওয়ালাদের পকেটে টাকা ভরে’ রুদ্ধশ্বাস হয়ে গেছে।”
আমরা সরলা দেবীর লিখিত এই কয়খানি পুস্তক-পুস্তিকার সন্ধান পাইয়াছি:
- ১ শতগান (স্বরলিপি সহ): বৈশাখ ১৩০৭ (ইং ১৯০০)। পৃ ২১৬।
- ২ বাঙ্গালীর পিতৃধন: (২৬-৫-১৯০৩)। পৃ ৯।
- ৩ ভারতস্ত্রী-মহামণ্ডল: (৭-৩-১৯১১)। পৃ ২৪।
- ৪ নব-বর্ষের স্বপ্ন (গল্প): শ্রাবণ ১৩২৫ (১৫-৭-১৯১৮)। পৃ ১৫২।
- ৫ কালীপূজার বলিদান ও বর্ত্তমানে তাহার উপযোগিতা (২-২-১৯২৬)। পৃ ২১।
- ৬ শ্রীগুরু বিজয়কৃষ্ণ দেবশর্ম্মানুষ্ঠিত শিবরাত্রিপূজা (ইং ১৯৪১)।
- ৭ বেদবাণী (আচার্য্য বিজয়কৃষ্ণ দেবশর্ম্মার উপদেশাবলী সরলা দেবী কর্ত্তৃক লিখিত): ১ম খণ্ড (জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৪)-১১শ খণ্ড (পৌষ ১৩৫৭) ইং ১৯৪৭-৫০।
১৮ আগস্ট ১৯৪৫ তারিখে, ৭৩ বৎসর বয়সে, সরলা দেবীর মত্যু হইয়াছে। মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে তিনি সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় (১১-১১-১৯৪৪—৯-৬-১৯৪৫) ‘জীবনের ঝরা পাতা’ নামে জীবনস্মৃতি বিবৃত করিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে তাঁহার লিখিত ‘আমার বাল্যজীবনী’