(‘ভারতী, বৈশাখ ১৩১২) ও ‘রবীন্দ্রনাথ’ (‘ভারতবর্ষ, কার্তিক ১৩৪৬) প্রবন্ধ দুইটি পঠিতব্য।
প্রিয়ম্বদা দেবী। ইনি প্রসন্নময়ী দেবীর একমাত্র সন্তান। ১৮৭১ সনে পাবনা জেলার গুণাইগাছা গ্রামে তাঁহার জন্ম হয়। ১৮৯২ সনে প্রিয়ম্বদা বেথুন কলেজ হইতে কৃতিত্বের সহিত বি. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই বৎসরই মধ্যপ্রদেশের ব্যবহারাজীব তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। কিন্তু পাঁচ বৎসর যাইতে-না-যাইতেই তাঁহার বৈধব্য (১৬-৯-১৮৯৫) ঘটে।
শৈশবাবধি বাংলা-সাহিত্যে প্রিয়ম্বদার অনরাগ ছিল। ১২৯২ সালের আশ্বিন-সংখ্যা ‘বামাবোধিনী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ফুল’ নামে একটি ক্ষুদ্র সন্দর্ভই তাঁহার প্রথম মুদ্রিত রচনা। পর-বৎসর ‘ভারতী ও বালকে’ (কার্তিক ১২৯৩) তাঁহার একটি ‘গান’ “বালিকার রচনা” হিসাবে মুদ্রিত হয়। ১৩০৫ সাল হইতে ‘ভারতী’তে তাঁহার গদ্য-পদ্য বহু রচনা প্রকাশিত হইয়াছে। সুকবি হিসাবে প্রিয়ম্বদা খ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন। তাঁহার রচিত গ্রন্থাবলী:
- ১ রেণু (কাব্য): (১-৯-১৯০০)। পৃ ৬৯।
- ২ তারা (শোক-কবিতা): (১৮-১১-১৯০৭)। পৃ ৩৪।
- ৩ পত্রলেখা (কাব্য): (১০-১-১৯১১)। পৃ ১৫৮।
- ৪ ঝিলে জঙ্গলে শিকার (অনূদিত): (১৫-৯-১৯২৪)। পৃ ৯৮।
- ৫ অংশু (কাব্য): শ্রাবণ ১৩৩৪ (ইং ১৯২৭)। পৃ ১২৫।
- ৬ চম্পা ও পাটল (কাব্য): (ইং ১৯৩৯)। পৃ ৩৮।
ইহা ছাড়া তিনি তিনখানি শিশ্যপাঠ্য গ্রন্থ-—‘অনাথ’ (১৮-২-১৯১৫), ‘কথা ও উপকথা’ ও ‘পঞ্চুলাল’ (ইং ১৯২৩) রচনা করিয়াছিলেন। ১৩৪১ সালের ফাল্গুন মাসে প্রিয়ম্বদার মৃত্যু হইয়াছে।[১]
সরলাবালা দাসী। বাংলায় যে-কয়খানি সুপরিচিত শোক-কাব্য আছে, তাহার মধ্যে সরলাবালা দাসীর ‘প্রবাহ’ অন্যতম। তিনি কিশোরীলাল সরকারের কন্যা, ডাক্তার সরসীলাল সরকারের ভগিনী। ১২৮২ সালের ২৫এ অগ্রহায়ণ তাঁহার জন্ম, এবং ১২৯৪ সালে রায়-বাহাদুর মহিমচন্দ্র সরকারের
- ↑ দ্র° ‘ভারতবর্ষ, চৈত্র ১৩৪১।