পাতা:বঙ্গসাহিত্যে নারী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বঙ্গসাহিত্যে নারী
২৭

খণ্ড, মহাভারত; ২য় খণ্ড রামায়ণ), ‘শ্রদ্ধায় স্মরণ’ (১৩১৯) প্রভৃতি আরও কয়েকখানি পুস্তকের রচয়িত্রী। তিনি সুপরিচিত শিশুপাঠ্য পত্রিকা ‘মুকুলের’ শেষ তিন বৎসর সম্পাদন করিয়াছিলেন। ১৯১৯ সনে তাঁহার মৃত্যু হইয়াছে।

 প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্রী, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা। ইঁহার রচিত ‘আমিষ ও নিরামিষ আহার’ (ইং ১৯০০ ..) সাহিত্যক্ষেত্রে নিতান্ত অপরিচিত নহে।

 সারদাসুন্দরী দেবী। ইনি ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের জননী; জন্ম ১৮১৯ সনে। ১৮৯২ ও ১৯০০ সনে ইঁহার বিবৃত আত্মকথা যোগেন্দ্রলাল খাস্তগীর ১৯১৪ সনের জানুয়ারি মাসে ‘কেশবজননী দেবী সারদাসুন্দরীর আত্মকথা’ নামে প্রকাশ করিয়াছেন।

 পঙ্কজিনী বসু। ১৮৮৪ সনে ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণার শ্রীনগর গ্রামে পঙ্কজিনীর জন্ম হয়। তাঁহার পিতার নাম নিবারণচন্দ্র গুহ মুস্তফী। তেরো বৎসর বয়সে বজ্রযোগিনী গ্রামে কুমন্দবন্ধু বসুর জ্যেষ্ঠ পত্র আশুবোধ বসুর সহিত পঙ্কজিনীর বিবাহ হয়। সতের বৎসর পূর্ণ হইতে-না-হইতেই ২ সেপ্টেম্বর ১৯০০ তারিখে তাঁহার মৃত্যু হয়। তাঁহার সকল কবিতাই বিবাহের পরে রচিত। ১৯০১ সনে ‘হেলেনা’ কাব্যের লেখক আনন্দচন্দ্র মিত্র স্বীয় ভূমিকা সহ ‘স্মৃতি-কণা’ নামে পঙ্কজিনীর কবিতাগুলি প্রকাশ করেন। পনর বৎসর পরে ১৯১৬ সনে ইহার পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ বাহির হয়; এই সংস্করণে খ্যাতনামা পণ্ডিত হরিনাথ দে কর্তৃক ‘সূর্যমুখী’ কবিতাটির ইংরেজী অনুবাদও স্থান পাইয়াছে।

 অন্নদাসুন্দরী ঘোষ। ১৮৭৩ সনের ৩১এ ডিসেম্বর বাখরগঞ্জ জেলার অন্তঃপাতী রামচন্দ্রপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত গৃহ-পরিবারে অন্নদাসুন্দরীর জন্ম হয়। তাঁহার পিতার নাম মোহনচন্দ্র গুহ। বারো বৎসর বয়সে নিকটবর্তী গাভা গ্রামের ক্ষেত্রনাথ ঘোষের সহিত তাঁহার বিবাহ হয় (২৭ মে ১৮৮৬)। ইঁহাদের জ্যেষ্ঠ পত্র-রংপরে কারমাইকেল কলেজের ভূতপূর্ব অধ্যক্ষ শ্রীদেবপ্রসাদ ঘোষ। অন্নদাসুন্দরী উনিশ-কুড়ি বৎসর বয়স হইতেই কবিতা লিখিতে আরম্ভ করেন। তাঁহার বহু কবিতা ‘দাসী’, ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’,