‘অন্তঃপুর’, ‘নব্যভারত’ প্রভৃতিতে সাদরে স্থান লাভ করিয়াছিল। বরিশালের ‘ব্রহ্মবাদী’ নামক মাসিকপত্রেও তাঁহার প্রবন্ধাদি প্রকাশিত হইয়াছে। অন্নদাসুন্দরীর লিখিত কবিতাগুলি পুত্র দেবপ্রসাদ ১৩৪৭ সালের বৈশাখ মাসে ‘কবিতাবলী’ নামে পুস্তকাকারে প্রকাশ করিয়াছেন। কয়েক মাস পূর্বে—১৩৫৭, ৪ঠা শ্রাবণ—অন্নদাসুন্দরী পরলোকগমন করিয়াছেন।
এই ক্রমোন্নতির জের আজও পর্যন্ত অব্যাহত আছে। বঙ্গসাহিত্যে মহিলার দানের আয়তন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেছে। প্রবন্ধ, ভ্রমণ-কাহিনী কাব্য, ও কথাসাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁহাদের কেহ কেহ স্থায়ী আসন লাভ করিয়াছেন। যিনি বর্তমান কাল পর্যন্ত এই ইতিহাসের জের টানিবেন, সাহিত্যে বঙ্গমহিলার দীর্ঘতর তালিকা তাঁহাকে প্রস্তুত করিতে হইবে; কারণ, স্বভাবতই জীবনের নানা ক্ষেত্রের মত সাহিত্যক্ষেত্রেও নারীদের অভিযান ব্যাপকভাবে আরম্ভ হইয়াছে। গ্রন্থকর্ত্রী এবং সাময়িক-পত্রের লেখিকা হিসাবে এই শতাব্দীর গোড়া হইতে—
- অনিন্দিতা দেবী, অনুরূপা দেবী, আশাপূর্ণা দেবী, আশালতা দেবী, আশালতা সিংহ, ইন্দিরা দেবী (চৌধরাণী), ইন্দিরা দেবী (বন্দ্যোপাধ্যায়), উমা দেবী (গুপ্ত), উমা রায়, উর্মিলা দেবী, কুমন্দিনী মিত্র (বসু), গিরিবালা দেবী, জ্যোতির্ময়ী দেবী, জ্যোতির্মালা দেবী, তুষার দেবী, দুর্গাবতী ঘোষ, নিরুপমা দেবী, নিরুপমা দেবী (সেন), নিস্তারিণী দেবী, পারুল দেবী, পূর্ণশশী দেবী, প্রতিভা বসু, প্রতিমা দেবী (ঠাকুর), প্রফুল্লময়ী দেবী (ঠাকুর), প্রভাবতী দেবী, ফুলকুমারী গুপ্ত, বাণী গুপ্তা, বাণী রায়, বিনোদিনী দাসী, বিমলা দাশগুপ্তা, বীণা দাস (ভৌমিক), মিসেস আর. এস. হোসেন, মৈত্রেয়ী দেবী, রত্নমালা দেবী, রমা চৌধরী, রাজকুমারী অনঙ্গমোহিনী, রাণী চন্দ, রাধারাণী দেবী (অপরাজিতা দেবী), লীলা দেবী (চৌধুরী), শরৎকুমারী দেবী, শান্তা দেবী, শান্তিসুধা ঘোষ, শৈলবালা ঘোষজায়া, সরযুবালা দাসগুপ্তা, সীতা দেবী, সুখলতা রাও, সরমাসুন্দরী ঘোষ, সুরুচিবালা সেনগুপ্তা, স্নেহলতা সেন, হাসিরাশি দেবী, হেমন্তবালা দেবী, হেমলতা দেবী, হেমলতা সরকার
প্রমুখ লেখিকাদের নামের সহিত পাঠকেরা পরিচিত হইতেছেন এবং প্রতিদিন আরও নূতন নাম তালিকায় ভুক্ত হইতেছে। ইঁহাদের অনেকেই ক্ষমতাশালী লেখিকা এবং ব্যাপকতর আলোচনার দাবী রাখেন।