পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\() বঙ্গে ভুর জাতীন্দ্র ইতিহাসন ১ম অধ্যায় । দিবেন না। একদিন শেষরীত্রে শ্রীশ্রীরাধীমোহন জীউ উক্ত মিত্র মহাশয়কে স্বপ্ন দেন, “তোমার অন্ত মূৰ্ত্তিতে প্রয়োজন নাই, তুমি তামাকে বৰ্দ্ধমান হইতে লইয়া গিয়া তোমার মাহীতার বাটতে আমাকে স্থাপিত কর । তাঁহাতে মিত্র মহাশয় স্বপ্নাবস্থায় নিবেদন করেন যে, প্রভো ! আপনি অতি ধনাঢ্য ব্যক্তির ঠাকুর, আমি সামান্ত লোক, আপনাকে কিরূপে লইয়া যাইব ? তাহাতে রাধামোহন জীউ আদেশ করেন যে, “আমি ত হার উপযুক্ত ব্যবস্থা করিতেছি।’ সেই রাত্রে ঠিক ঐ সময়েই বৰ্দ্ধমানাধিপতিকেও রাধামোহনজীউ স্বপ্ন দেন যে, ‘বদনমিত্র দ্বারা তুমি বৰ্দ্ধমানরাজসম্পত্তি লাভ করিয়াছ, সে তোমার ধন সম্পত্তি কিছুই চাহে না, সে কেবলমাত্র আমাকে চাহে। অতএব কল্য প্রভাতে বদন মিত্র যখন তোমার কাছারীতে আসিবেন, তখন তুমি মিত্রকে আমার শ্ৰীমুক্তি দান করিও, নচেৎ তোমার মঙ্গল হইবে না । পরদিন প্রভাতে বদন রাজবাটীর কাছারীতে যাইলে মহারাজ মিত্র মহাশয়কে ডাকাইয়। রাধামোহন জীউর শ্ৰীমূৰ্ত্তি তাহার বাটতে লইয়া যাইতে ইচ্ছুক কিনা জিজ্ঞাসা করেন । তদুত্তরে মিত্র মহাশয় বলেন যে, মুক্তিটা বড়ই মনোহারী, তজ্জন্ত তিনি কালিকাপুরের জনৈক মুনিপুণ ভাস্করকে অনুরূপ মূৰ্ত্তি গঠনের জন্য বরাত দিয়াছেন । মহারাজ বলেন যে আর নূতন মূৰ্ত্তিতে আবশ্বক নাই । রাধামোহনজীউ তোমার বাটীতে যাইতে ইচ্ছুক, তুমি তাঁহাকে লইয়া যাও, কিন্তু ঐ সঙ্গে আমি কিছু জমিদারী দেবসেবার জন্ত দিতে চাহি । তাহাতে মিত্র মহাশয় বলেন যে রাজার ঠাকুর যখন গরীবের বাটতে যাইতেছেন, আমার যেরূপ জুটবে সেইরূপ সেবা করিব। আমার জমিদারীর অবিখ্যকতা মাই। কিন্তু মহারাজ বলেন যে আমি জমিদারী তোমাকে দিতেছি না, ঠাকুরকে দিতেছি, তুমি ইহাঠে অসম্মতি প্রকাশ করিও না ; বদনমিত্র অগত্য সন্মতি দেন। মহারাজ রাধামোচনজীউ ঠাকুরের শ্রীমুক্তি এবং বার্ষিক ছয়হাজার টাকা মুনফার লাট চানক নামক বৰ্দ্ধমান জেলাস্থিত একটা জমিদারী সম্পত্তি মিত্র মহাশয়কে অপণ করেন। পরে (১১৯৮ সালে) মিত্র মহাশয় শ্রীশ্রীরাধামোহনজীউকে নিজ বাট মাহাত মোকামে BBB BBBS BBB BB BBBBB BBB BB BBB BBS BBBB BBBB DD রাধামোহন জীউর দেবোত্তর সম্পত্তি করিয়া দেন এবং অতি সমারোহের সহিত উক্ত ঠাকুরের নিত্যনৈমিত্তিক সেবাপূজা নিৰ্ব্বাহ করিতে থাকেন। ঠাকুরের সেপাদির জন্ত অনেকগুলি ব্রাহ্মণ পরিচারক নিযুক্ত করিয়া দেন । বদন মিত্রের পরলোকাস্তে র্তাহার দুই পুত্র গঙ্গামূরিায়ণ ও নরনারায়ণ প্রথম যৌবনাবস্থায় পরলোকগমন করেন । গঙ্গানারায়ণ ও নরনারায়ণ অল্প বয়সেই তারিবী, পারসী, ও সংস্কৃত ভ ষ ভালরূপ শিক্ষা করেন এবং তাছার পিতার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা প্রাণকৃষ্ণ মিত্র প্রভৃতির সহিত একত্র একান্নে সদ্ভাবের সহিত বসবাস করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহদের পরলোকাস্তুে উহাদের মাত স্বীয় স্বামীর বৈমাত্রেয় ভ্রাতাদের সহিত বিবাদ ও কলহ আরম্ভ করেন । তাহার ফলে দীর্ঘকালব্যাপী যালি মোকদম উপস্থিত হয়। বদনমিত্রের , দৌহিত্রগণ র্তাহীদের মাতামহের জ্যেষ্ঠাধিকারিত্নস্থত্রে যাবতীয় সম্পত্তির রকম ॥y০ জানা এবং প্রাণকৃষ্ণ মিত্র ও