পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৬২ বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসন [ ०s* अथJांग्रं । কাপ্তপ কুলের কটু তাথে কটু কত । লেখা করিয়া বুঝি লও গাঞি আছে যত । কহিব দাসের সন্ধি কর অবধান। তাহাতে অগ্রাহ কেবা করি আছে মান ॥ কাগুপ আক্ষটি বলি আগে দিল গালি । তাথে কেব। মাখ মাখি কার পড়িল আলি ৷ কুণিয়া বলে সবে কুলে কুণিয়ায় নাহি দায় । কুণিয়ায় বড় কুল জাগ্রত পাইলে ধরিয়া খায় ॥ কুৎসিৎ কাশুপ যত সিজ। কুণিয়া বলে। তারা বিচারিতে নান গাঞি কুল ঘন তোলে। কেহ আম, কেহ দধি, কেহ গোময়হাটী। আমলকী সিজাঘরিয়া বস্থ কুলের জাটি। দাসপাড়া কেঁয়রডা কুসুম গোকর্ণ। কটুর কটু রামের বটু গুনিয়া ফাটে কর্ণ। অথ গ্রামগত ব্যক্ত করণ । চণ্ডী গৌরী করণ কারণ দেখি মহামনে । তবে কেন বলে কটু কাশুপ করণে ॥ প্রথমে বিশ্বাসখাসের হাজরায় করণ। এখন হেদে দেখ ভূষণায় কুলের গমন ॥ দেশে সবে বলেন বামু সভাপতি বড় । বিদেশে উদয়সুত কুল করণ দড় ॥ জজানে উচিত কুল অাগে নাহি দেখি ! গোবিন্দ রাজার স্বত ডাকে বড় লিখি ॥ রাঘবে বসন্তু রায় আগে গিয়াছিল । পক্ষ শেষে রাজবল্লভ আশ্রয় লইলা ॥ মৰমনে পমাই গেল। গোদে বঁাশী স্থত। বঙ্গ হইতে আইলা মণি বড়ই কৌতুক ॥ আগে জগন্নাথে ভাঙ্গিয়া ছিল পাটুলির যুথ । পরে ধীরে ধীরে চলিয়া আইলা কালিদাসস্থত। দিগম্বরে সানন্দকুলে জীবন আইলা দেখি । শস্থ কুলে দম্ভ বড় চরম ডাক লিখি ॥” জালালপুরের রায়বংশ গজদানী রামদাসের বংশে অনস্তদাসের ধারায় হিম কর দাসের পুত্র শ্রীরামদাস বিশ্বাস খাস একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। বর্তমান কান্দী মহকুমার অন্তর্গত কুণিয়া গ্রামের নিকট গয়েসপুর গ্রাম। উক্ত গ্রামের কিয়দংশ গিধিনী নামে খ্যাত ছিল। দিল্লীশ্বর হুইবার পর সেরশাহু যখন ভারতের নানাস্থানে ‘শড়ক’ বা প্রশস্ত রাজপথ নিৰ্ম্মাণে মনোনিবেশ করেন, তৎকালে স্ত্রীরামদাস বাদশাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া গৌড় হইতে উড়িষ্যা পর্য্যন্ত রাস্ত নিৰ্ম্মাণের ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে গৌড়ের বাদশাহগণের সময়ে উড়িষ্যা যাইবার ষে শড়ক ছিল তাহ জঙ্গীপুর হইতে বেলুন ও মাড়গ্রাম হইয়া বৰ্দ্ধমান পৰ্য্যন্ত ছিল। শ্রীরামদাস উক্ত পথ কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করিয়া স্বীয় বাসস্থান গয়েসপুর গ্রামের নিকট দিয়া লইয়া গেলেন। উক্ত বাদশাহী শিরাণের’ পার্শ্বে একটা সুদীর্ঘ বাদশাহী দীর্থিক রহিয়াছে। ঐরাম নিজ নামে “খীসবিশ্বাসূদীৰী” নামে আর একটী পুষ্করিণী খনন করাইয়াছিলেন। খাসবিশ্বাস উপাধির বিশেষ কিছু অর্থ পাওয়া যায় না । পরবর্তী অধ্যায়ে তাহার বংশধর রাজা সীতারাম রায় প্রসঙ্গে এ সম্বন্ধে আলোচনা করা হইয়াছে । তাছার বংশধরগণের রায় উপাধি দেখা যায় । গয়েসপুরে রায়ের দৗৰী নামে একটী গভীর