পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের জাতীক্স ইতিহাস ১৬শ অধ্যায়। دیانیاچ নন্দরামের অলৌকিক শক্তি প্রভাবে আকৃষ্ট হইয়া বহু লোক র্তীঃtর শিষ্য হইয়াছিলেন । এমন কি অনেক ব্রাহ্মণও তাঁহার শিষ্য হইয়াছিলেন। একদা মুসলমান নৃপতি "সহস্র লস্কর সঙ্গে উষ্ট্র ঘোড়া হাতি লইয়া উক্ত গ্রামে উপস্থিত ইলেন। নন্দরামের প্রভাবে অস্থয়াপরবশ হইয় জনৈক ব্রাহ্মণ গৌড়েশ্বর ( হাসেন শাহ ) নিকটে গিয়া জানাইলেন নন্দিনপ্রিয়া ‘পুরুষ হইয়া স্ত্রীমূৰ্ত্তি ধরে । রাজসকাশে আনীত হইয়া নিদিনী ক’েন আমি হই স্ত্রী আচরি’ । তখন তাহার বস্ত্র খুলিবার আদেশ হইলে নন্দিনী নিষেধ করিলেন। রাজপুরুষগণ বস্ত্র শেষ করিতে পারিলেন না । ‘আচম্বিতে উরু বাহি নান্বয়ে রুধির । রজেtলক্ষণ পাইয়া নৃপতি চিত্তে অস্থির হইলেন এবং অপরাধ ক্ষমা প্রার্থন পূৰ্ব্বক ‘তিন গ্রাম ছাড়ি দিলেন লিখে দানপত্র। স্থাপিলেন গোপীনাথের শ্ৰীমন্দির তত্র " এইরূপে বাদশাহ হোসেন শাহের আদেশে ও বয়ে গোপাল রে গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দিৰ নিৰ্ম্মিত হইল ও তিনগ্রাম নিষ্কর ভূমি লাভ হইল। এই গ্রামেরও গোপীনাথপুর নাম রাখা হইল। উত্তর কালে (দালপূর্ণিমার মেলা উপলক্ষে এই গ্রামের নাম মল-গোপীনাথপুর হইয়াছে। নন্দিনী-প্রিয়ার অলৌকিক শক্তির কথা চতুর্দিকে বিস্কৃত হইতে লাগিল। বহুলোক উহার শিষ্য হইল এবং গোপীনাথ দর্শনের জন্য বহু যাত্রী আসিতে লাগিল। সঙ্গে সঙ্গে আরও বৃদ্ধি ইতে লাগিল । তাহিরপুরের রাজার ও হোসেন শাহ বাদসাহের দেওয়া সম্পত্তি লাভের পরে দিনাজপুর, বলিহার, পুঠিয়া প্রভৃতি রাজ-এষ্টেট হইতেও বহু সম্পত্তি অৰ্পিত হইয়াছিল। উত্তর কালে নাটোর, মুক্তাগাছ প্রভৃতি রাজ-এষ্টেট হইতেও শ্ৰীশ্ৰীগোপীলীথের জন্ত সম্পত্তি অৰ্পিত হইয়াছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় মেলগোপীনাথপুর মৌজার উপর রাজস্ব ধার্য্য হয়। সবাইতগণ কানও কালে বেষয়িক ছিলেন না, নিয়ত সেবা কাৰ্য্যেই ব্যস্ত থাকি তেন । শিষ্যগণ ও দেশস্থ সাধারণ ভদ্রলোকগণ মিলিত হইয়া বহু চেষ্টা করিবার পর স্থির হয় যখন রাজস্ব ধাৰ্য্য হইয়া গিয়াছে তখন তাহ বাদ পড়িতে পারে না। তবে ঐ শ্ৰীগোপীনাথের সেবার জন্য রাজস্ব সমপরিমাণ টাক প্রতিবৎসর কালেকটরী হইতে দে স্থা হইবে । কিন্তু কেহ উক্ত টাকা লইবার চেষ্টা না করায় কয়েক বৎসর পরে তাহাও বন্ধ হইয়া যায়। পরে শিষ্যগণের ও সাধারণ লোকের পুনৰ্ব্বার চেষ্টায় গবর্ণমেণ্ট সলিয়ান ৭২ve টাকা তের মান শ্ৰীশ্ৰীগোপীনাথের সেবার জন্ত রাজসাহী কালেকটরী হইতে দিবার আদেশ প্রদান করেন। তদনুসারে উক্ত টাক বৎসর বৎসর আদায় হইয়া আসিতেছে। এখন বগুড়া-কালেকটরী হইতে উক্ত টাকা পাওয়া যায় । নদরাম সিংহের স্ত্রী পুত্রাদি ছিল না। জেলা বগুড়ার অন্তর্গত বড় তারা গ্রামের সোঁকালীন ঘোষবংশের একটা বালককে একদা সৰ্পে দংশন করে। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব প্রশ অনুসারে মৃত বালকটকে একটা মধুৰ্যার উপর স্থাপন করিয়া তুলসীগঙ্গা নদী বক্ষে ভাসাইয়া দেওয়া হয়। নন্দরাম উক্ত নদীতে স্নান করিতেছিলেন। মঞ্জুয়াস্থিত বালকের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায় তিনি তাহাকে উঠাইয়া লইয়া পুনর্জীবিত করেন ও দীক্ষা প্রদানপূর্বক দেবসেবার কাৰ্য্যে নিয়োজিত্ব করেন। বালকের আত্মীয়বর্গ সংবাদ পাইয়া মেলা-গোপীনাথপুরে আগমন