পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গাতীর পরিত্যাগই তাহার মৃত্যুর কারণ। গঙ্গার প্রতি এরূপ অচলা ভক্তি খুব কমই ८झ ५ ग्रुम्ल ! যাদবচন্দ্র বাৎস্ত গোত্রীয় বেণীমাধব সিংহের মধ্যম কস্তাকে বিবাহ করেন। বেণীমাধব সিংহ তৎকালে একজন প্রতাপশালী লোক ছিলেন, নীলকুঠির সাহেবদেয় সহিত তাহার বিষয়সম্পত্তি লইয়। নোমালিন্ত থাকা কালে কুঠির সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছিলেন, উভয় পক্ষের বিরোধ ক্রমশঃ অতি গুরুতর হইয়াউঠিয়াছিল,এমন কি প্রত্যেক পক্ষই অপর পক্ষের ধ্বংসের জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন । সিংহ মহাশয় প্রতিজ্ঞ করিয়ছিলেন যে নীলকুঠির সাহেবদের অত্যাচার হইতে দুৰ্ব্বল প্রজাদের রক্ষার্থ জীবনপাত করিয়াও অত্যাচার নিবারণের চেষ্টা করিবেন। এ কারণে কোন পক্ষই নিজ দলবল ছাড়া কখনও চলিতেন না। প্রবাদ আছে যে একদিন দৈবজুৰ্ব্বিপাকে সিংহ মহাশয় অমুচরবর্গের অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া একাই অশ্বারোহণে বর্হিগমন করেন। তিনি অশ্বপৃষ্ঠে অসি সঞ্চালন করিতে অতিশয় দক্ষ ছিলেন । সেদিনও তিনি অশ্বপৃষ্ঠেই বাহির হইয়াছিলেন, অশ্বপৃষ্ঠে বহির্গমনকালে কটিদেশে তাহার অসি বুলিত । একাকী বহির্গমনবার্তা কুঠির সাহেবদের নিকট পহুছিতে বিলম্ব হয় নাই। প্রত্যাবৰ্ত্তন কালে পথিমধ্যে কুঠিয়াল ফৌজ ও সাহেবকর্তৃক সশস্ত্র আক্রান্ত হইলে মৃত্যু অবশুম্ভাবী জানিয়াও বীরদপে আত্মরক্ষার্থে অসি চালনা করিতে লাগিলেন। একাকী বহু লোকের সহিত সংঘর্ষে অস্থিত হইলেও অশ্বারূঢ় কুঠির বড় সাহেব ভীষণ ভাবে তাহাকে আক্রমণ করিলে দ্বন্দ্বযুদ্ধে উভয়েরই জীবন বিপদাপন্ন হয়, কিন্তু সিংহ মহাশয় স্বীয় মস্তকোপরি উখিত সাহেবের তরবারির প্রতি ক্ৰক্ষেপ না করিয়া সিংহবিক্রমে তরবারি সঞ্চালন করিতে করিতে মুহূৰ্ত্তমধ্যে আক্রমণকারীকে সম্পূর্ণ পরাভূত করিয়া ক্ষতবিক্ষ ও শোণিতাক্ত দেহুে গৃহে প্রত্যfবর্তন করেন । এতদসংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমায় নিজপক্ষ সমর্থন করিতে বহু অর্থব্যয় ঘটিয়াছিল। পরিণামে নীলকুঠির বড় সাহেবের মৃত্যুর পর কুঠি উঠিয় যাওয়াতে তৎসঙ্গে, সাহেবের অত্যাচার হইতে নিরীহ প্রজাবর্গের নিষ্কৃতলাভই তিনি যথেষ্ট পুরস্কার মনে করিয়াছিলেন । তাহার ৭ পুস্ত্র ভূগর্ভপ্রোথিত অর্থ প্রাপ্ত হইয়া ব্যবসা বাণিজ্য দ্বারা প্রভূত অর্থ উপাৰ্জ্জন করিতে করিতে সাত ভ্রাতাই মৃত্যুমুখে পতিত হন, এমন কি, কনিষ্ঠ ভ্রাতৃজায়া ব্যতীত বংশে অীর কেহ রহিল না। যাদবচন্দ্র বহু বৎসর অতি মুখ্যাতির সহিত ওকালতি ব্যবসায় কাটাইয়া বৃদ্ধাকস্থায় পীড়িত হইলে গঙ্গাতীরে বাস করিলেই রোগমুক্ত হইবেন এরূপ দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহার আত্মীয় স্বজন স্থচিকিৎসার জন্ত কলিকাতায় লইয়া গেলে তিনি হতাশ হইয়া পড়েন এবং সেইখানেই তাহার মৃত্যু হয়। কায়স্থ জাতির উন্নতিকল্পে দিনাজপুরে যে সকল অনুষ্ঠান ছিল তিনি সকল গুলিতেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন, এবং স্বজাতিপ্রতিপালক ছিলেন ; অনেক আত্মীয় কুটুকে আনিয়া দিনাজপুরে বসবাস করিবার স্থযোগ দিয়াছিলেন এবং y:: - ; : মায়ের বিষয় সম্পত্তি লইয়া তাহার মৃত্যুর পর হইতেই একাদিক্ৰমে