পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBBBB BBBBB S Bu uDBB BBBDSDB gg S9ج মেহগ্রামের মিত্রবংশ মেহগ্রামের মিত্রবংশ সম্বন্ধে কুলগ্রন্থে ও মিত্রবংশীয়গণের প্রদত্ত বংশলতায় মূল পুরুষের সহিত মিল হয় না। কুলগ্রন্থানুসারে খেলান বা খেলারাম মিত্র মেহগ্রামে গিয়াছিলেন । র্তাহার বংশীয়দের প্রেরিত বংশলতায় দেখা যায় পুরুষোত্তম মিত্রের প্রথম পক্ষের চারি পুত্র কোচ, বট, বাচস্পতি ও নরসিংহ এবং শেষ পক্ষে গণপতি নামে এক পুত্র হয় ; মেহগ্রামের মিত্রগণ তাহারই বংশধর। আবার কোন কোন কুলগ্রন্থে দেখা যাইতেছে কোচমিত্রের ১ারিট পুত্র রঙ্গ, রুদ্র, খেলান ও মেলান। রঙ্গ মিত্রের বংশ বেলুন, কুড় মগ্রাম প্রভৃতি গ্রামে, রুদ্র মিত্র হিলোড়ায় ও খেলান মিত্রের পুত্র গণপতি মিত্র মেহগ্রামে বাস করেন। মেলানের বংশ নাই । গণপতি খেলানের ভ্রাত ও পুত্র দুই প্রকার কাগজ পাওয়া যাইতেছে। ঘনষ্ঠাম মিত্র লিখিয়াছেন,-- “ঈশানঃ কাঞ্চনাধীশে কুলপতিঃ গোমতীশ্বরঃ । খেলানস্ত ত্রয়ঃ পুত্র; গণসাধবশঙ্করাঃ ॥’ এই কারিক অনুসারে পেলানের তিন পুত্র হইতেছে । আবার অন্তত্র দেখা যাধ— “বেলুন মেহগ্রাম উত্তর সীমা চারি। উত্তর গু নদী মহী তণে গণে বারি ॥” কাচন গোমতী দুঘ। দক্ষিণ কৰাট । গোকৰ্ণ গর্হিত মূলে মিত্র মহী আট । মত্র মহী একাদশ, নিরবসু কুলে কস ” গণপতিকে খেলানের পুত্র ধরিয়াই উপস্থিত বংশলতা দেওয়া হইল। গণপতির পুত্র সম্বন্ধে দুই মত দেখা যায়। কেহ কেহ লিখিতেছেন, গণপতির চারিটি পুত্র-ত্রিপুরারি, শচীপতি, সভাপতি ও সৰ্ব্বেশ্বর । অন্ত মতে সব্বেশ্বর, সভাপতি, রুদ্রনাথ ও রামনাথ এই চারি পুত্র। ইহাদের বংশ রহিয়াছে । সুতরাং গণপতির ছয়টি পুত্র ছিল জান। যাইতেছে । যথা ত্রিপুরারি, শচীপতি, সভাপতি, সৰ্ব্বেশ্বর, রুদ্রনাথ ও রামনাথ । সভাপতি ও সৰ্ব্বেশ্বর মিত্রের বংশধরগণ মেহগ্রামে বাস করিতেছেন । সভাপতি মিত্র বাদশাহের যুদ্ধবিভাগে কৰ্ম্ম করিয়া হাজরা উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। সৰ্ব্বেশ্বর মিত্রের দুই পুত্র মধুসূদন ও বেদগৰ্ত্ত। কাহারও মতে বেদগৰ্ত্ত জ্যেষ্ঠ ও মধুসূদন কনিষ্ঠ। তাহারা উভয় ভ্ৰাতায় দিল্লীতে কৰ্ম্ম করিয়া অবস্থার উন্নতি কৰুিয়াছিলেন। মধুসূদনের বংশধরগণ রায় ও বেদগৰ্ত্তের বংশধরগণ চৌধুরী উপাধি ধারণ করিয়া আসিতেছেন। মধুসুদন চতুর্দিকে একটা ক্ষুদ্রগড়বেষ্টিত বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করেন। উক্ত বাড়ী এখনও গড়বাড়ী নামে খ্যাত। তথায় দুর্গোৎসব, শিবমন্দির ও শালগ্রাম সেবা রহিয়াছে। বিদগন্তু চৌধুরী গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করেন । তাহার বাড়ীতেও দুর্গোৎসব, শিবমন্দির ও নারায়ু ণের নিত্যসেবা রহিয়াছে। বেদগন্তু চৌধুরী মেহগ্রামে স্বজাতির কটি সভা করিয়াছিলেন, ঘটক কারিকায় সম্ভাবর্ণন-কালে লিখিত হইয়াছে— 磯 "আদি সভা মেহগ্রাম বেলুন সভা পরে "