পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বঙ্গের জাতীক্স ইতিহাস বঙ্গবিনোদের বাসভূমি প্রায় ৪•/ চল্লিশ বিধা, চতুর্দিকে উচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত। তাহার ভগ্ন ভিত্তি ও পাতালঘর অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে । কালীমন্দিরটি বর্তমান আছে এবং তথায় কালীমাতার পূজা হইয় থাকে। বঙ্গবিনোদের এই পদপ্রাপ্তির পর জ্যেষ্ঠ ভ্রাত। ভগবান তাছার সহিত মিলিত হইলেন এবং উভয়ে একত্র রাজকাৰ্য্য পরিচালন করিতে লাগিলেন। সেরেস্তার পূর্ব আদায়ী কাগজে ষে অীয় ছিল তদপেক্ষ প্রায় দুই লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় বৃদ্ধি হওয়ায় সম্রাট সস্তুষ্ট হইয়। বঙ্গবিনোদকে “রায়” ও “বঙ্গাধিকারী মহাশয়” উপাধি পুরুষামুক্রমে ব্যবহার জন্ত সননা প্রদান করিলেন । বঙ্গবিনোদের নামে কথিত বিনোদনগর (কড়,ই) ও অরঙ্গাবাদ বঙ্গাধিকারীর জমিদারী। খাজুরডিহি ও দুর্গ বা দুধ গ্রাম অরঙ্গাবাদ মধ্যে অবস্থিত। বঙ্গবিনোদ পরলোক গমন করিলে হরিনারায়ণ রায় বাদশাহ আরঙ্গজেবের প্রদত্ত ১০৯৪ হিজরি (১৬৭৯ খৃঃ অঃ ) সালের সনদ অনুসারে কানুনগোই পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। উক্ত সনন্দে হরিনারায়ণ বঙ্গবিনোদের ভ্রাতুপুত্র বলিয়া উল্লেখ আছে। এদিকে বংশতালিকাঃ হরিনারায়ণকে বঙ্গবিনোদের পুত্র বলয়া লেখা হইয়াছে। আবার কোনও কোনও কাগজে বঙ্গবি নাদকে ভগবান রায়ের পুত্র বলা হইয়াছে। সনদের কপাই ইতিহাসগ্রাহ। সুতরাং BBBDDBB BBBBBB BBBB BBBS BBBB BBB BBD BB DDS BBBB বঙ্গবিনোদ তাহার ভ্রাতুপুত্র হরিনারায়ণকে দত্তকপুত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন । সম্রাট অরঙ্গজেব হরিনারায়ণকে যে সনন্দ দিয়াছিলেন তাহাতে র্তাহাকে বাঙ্গল, বেহার ও উড়িষ্যার কানুনগোই পদের অৰ্দ্ধেক কাৰ্য্যের ভার দিয়াছিলেন। সনন্দের পৃষ্ঠে লিখিত কৈফিয়তে জানা যায়, বঙ্গবিনোদের মৃত্যুর পর রঘুনাথ নামে একব্যক্তি ১৬৬৮ খৃষ্টাব্দে কানুনগোই ফাৰ্ম্মান পাইয়াছিলেন বলিয়া তাহার উত্তরাধিকারী ভট্টবাটীর কানুনগোই-বংশের আদিপুরুধ দৈবকীনন্দনকে অৰ্দ্ধাংশ কানুনগোই ফৰ্ম্মান দিবার হুকুম হয়। রামজীবনের এন্তালীয় প্রকাশ পায় যে দৈবকীনন্দন অৰ্দ্ধাংশ কানুনগোই পদ দখল পান নাই। এজন্য রামজীবনকে তাহার উত্তরাধিকারী কিনা জানিয়া উক্ত অৰ্দ্ধাংশ কানুনগোই পদ দিবার BBBB DDS BB BBBBB BBBBB BB BBBBB BBBBB LS g ভট্টবাটার বঙ্গাধিকারীকে / আন কানুনগোই পূদ বিভাগ করিয়া দিয়াছিলেন। একদা হরিনারায়ণ স্বীয় পৈতৃক বাসভূমি খাজুরডিহি গ্রামে গিয়াছিলেন। র্তাহার পীর তথায় একটি কীৰ্ত্তি রাখিবা ইচ্ছা হইলে হরিনারায়ণ বলিলেন যে তাহার পত্নী যতদূর পৰ্য্যন্ত অক্লাস্তভাবে পদব্রজে ভ্রমণ করিতে পরিবেন ততদুর বিস্তীর্ণ একটি পুষ্করিণী খনন কয়াইয় দিবেন। রাণী উক্ত বাক্যানুসারে যতদূর ভ্রমণ করিলেন হরিনারায়ণ তথায় একটি জলাশয় । খনন করাইলেন ও স্বীয় নামানুসারে তাহার নাম ‘হরি-সাগর" রাখিলেন । কথিত আছে, উক্ত দীর্ষিক-প্রতিষ্ঠাকালে ব্রাহ্মণভোজনে একলক্ষ পচিশ হাজার টাকা ব্যয়