পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ფ\ა বঙ্গের জাতীক্স ইতিহাস [ ৩য় অধ্যায় ডাল গ্রাম মধ্যে আমার সেবা প্রতিষ্ঠিত কর, আর তোমাকে এরূপ ভাবে কান্দিয়। বেড়াইতে হইবে না ’ নৃসিংহবল্লভ বলিলেন, আমি সমস্ত সম্পত্তি ত্যাগ করিয়া আসিয়াছি কেমন করিয়া আপনার সেবা স্থাপন করিব এবং কি উপায়েই বা সেবা চালাইব । মহাপ্রভু আদেশ করিলেন, তুমি ভিক্ষা করিয়া যাহা আনিবে তাহার দ্বার আমার ভোগ হইবে, তাহতেই আমি সন্তুষ্ট রহিব ! শ্ৰীমুখের এই আদেশবাণী শ্রবণ মাত্র তাহার নিদ্রাভঙ্গ হইল। তখন নৃসিংহবল্লভ গ্রামমধ্যে গিয়া গ্রামের লোকদিগকে স্বপ্লাদেশের বিষয় জানাইলেন । গ্রামবাসীরা যাহাতে সেবা প্রতিষ্ঠিত হয় সেজন্ত উদ্যোগী হইলেন এবং একটী উত্তম স্থান নর্ণয় করিয়া তথায় একখানি কুটীয় নিৰ্ম্মাণ করিলেন। কি প্রকারে শ্ৰীমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করা হইবে নৃসিংহবল্লভ সেজন্ত চিন্তিত হইলে মহাপ্ৰভু তাহাকে স্বপ্নে জানাইলেন, সুগড় গ্রাম হটতে স্বরূপ মিস্ত্রিকে আনাইয়! ময়নডাল গ্রামের একটী নিম্ববৃক্ষের দারু হইতে ঐবিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ করাইতে হইবে । নৃসিংহবল্লভ সুগড় গ্রামে উক্ত মিস্ত্রির নিকট গমন করিয়া স্বপ্নাদেশের কথা জানাইলে স্বরূপ মিস্ত্রি বলিল, আমার দুই চক্ষু অন্ধ কেমন করিয়া শ্ৰীবিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ করিব । নৃসিংহবল্লভ পুনরায় ময়নাডালে ফিরিয়া আসিয়া মনে মনে প্রভুর নিকট মিস্ত্রির অবস্থা জানাইলেন । মহাপ্রভুর কৃপায় উক্ত ভাস্কর চক্ষু পাইয়া ময়নাডাল গ্রামে উপস্থিত হইল এবং নৃসিংহবল্লভের সহিত দেখা করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত নিম্ববৃক্ষ হইতে শ্ৰীশ্ৰী গৌরাঙ্গ বিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ করিলেন। নৃসিংহুবল্লভ পূৰ্ব্বনিৰ্ম্মিত কুটীরে উক্ত বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করিয়া ভিক্ষাদ্বারা সেবা পূজা চালাইতে লাগিলেন। বিষয়বৈরাগ্য হইলেও মহাপ্রভুর স্বপ্নাদেশে নৃসিংহবল্লভ দার পরিগ্রহ করিলেন এবং যথা সময়ে তাহার একটী পুত্র হইল। পুত্রটার নাম রাখা হইল হরেকৃষ্ণবল্লভ পুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে নৃসিংহৰল্লভ পরলোক গমন করিলেন। হরেকৃষ্ণবল্লভ অত্যধিক স্কুলদেহ হেতু ভিক্ষার্থ গ্রামান্তরে যাইতে পারিতেন না । এজন্ত তিনি ৪জন শিবিকাবাহক নিযুক্ত করিয়া ভিক্ষার্থ বাহির হইতেন । কিছু কাল পরে তিনি বিবাহ করিয়াছিলেন । একদা রাজনগরাধিপতি রাজ আশজ জমানখা বাহাদুর মৃগয়ার্থ সসৈন্তে ময়নাডালের নিকটস্থ জঙ্গলে শিবির সংস্থাপন করেন । র্তাহার সঙ্গে একটি শিকারী পক্ষী ছিল, সেটি কোনও সুযোগে পিঞ্জর হইতে পলাইয়া যায়। হরেকৃষ্ণবল্লভের জমৈক শিবিকবাহক মাংসাহার উদ্দেশ্বে উক্ত পক্ষীটিকে মারিয়া গোপন করিয়া রাখে। রাজকৰ্ম্মচারিগণ তাহা জানিতে পারিয়া হরেকৃষ্ণবল্লঙের বাসগৃহ, দেবালয় ও ভূত্যের গৃহ আক্রমণ করিল। হরেকৃষ্ণবল্লভ মানান্তে আহিকে বসিয়াছিলেন। এমন সময়ে গোলমাল শুনিয়া বাহিরে অসিলেন ও ব্যাপার জানিয়া মৃত পক্ষীটি অনিবার জন্ত ভৃত্যকে আদেশ করিলেন। পঙ্কটা স্নানীত হইলে নৃসিংহবল্লভ মন্দিরপ্রাঙ্গণের ধূলা মাখাইয় পক্ষীটকে পুনর্জীবিত করিয়া দিলেন । কৰ্ম্মচারিগণ পক্ষীসহ রাজার সমীপে উপস্থিত হইয়। এই অলৌকিক