পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YRo লঙ্গের জাতীয় ইতিহাস [ ৭ম অধ্যায়। রাজচন্দ্র তাহাকেই সমস্ত রাজ্য ভার অর্পণ করেন। আনন্দচন্দ্র যোগ্যতার সহিত রাজকাৰ্য্য পরিচালন করিয়া সন ১২০৬ সালে হোরা পঞ্চমীর দিন পরলোকগমন করেন । রাজা আনন্দচন্দ্র রায়ের মৃত্যুকালে তৎপুত্র রাজা হরিশচন্দ্র রায় নাবালক ছিলেন। হরিশচন্দ্র রায়ের মাতা রাণী চম্পকলতা কিছুকাল রাজকাৰ্য্য পরিদর্শন করিতেন। সন ১২০৭ সালে কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ নাবালকের সম্পত্তি তত্ত্বাবধানের ভার গ্রহণ করেন। সন ১২২০ সালে রাজা হরিশচন্দ্র সাবালক হইয়া কোর্ট অব ওয়ার্ডসের নিকট হইতে সম্পত্তি গ্রহণ করেন। সন ১২০৮ সালে রাজবাটী গঙ্গাগর্ভে যাওয়ায় রাণী চম্পকলতা নারায়ণপুরে নুতন বাটা নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় দেববিগ্ৰহাদি লইয়া গিয়া বাস করিতে লাগিলেন। কিন্তু উক্ত বাটাও পাটুলির বাট বলিয়া বিখ্যাত হইল। রাজা হরিশচন্দ্রের তিনটা পত্নী ছিলেন। র্তাহার প্রথম পত্নী রাণী সৰ্ব্বমঙ্গলার সন ১২২৪ সালে অপমৃত্যু ঘটে। পরে অপমৃত্যুপাপ হইতে নিস্তার নিমিত্ত নিস্তারিণী নামে দক্ষিণকালিক। মূৰ্ত্তি স্থাপনের স্বপ্নাদেশ পাইয়া হরিশচন্দ্র সন ১২৩৪ সালে সেওড়াফুলীতে গঙ্গাতটে একটা মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া একটি পাষাণময়ী নিস্তারিণী মুৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন এবং উক্ত দেবীর সেবা পরিচালন জন্ত দেবো ভর সম্পত্তি নির্দেশ করিয়া দেন। মন্দিরগাত্রস্থ প্রস্তরফলকে নিম্নলিখিত শ্লোকটী লিখিত রহিয়াছে— “স্বীয়ে রাজ্যে ভুজঙ্গশ্রীতিশিখরিধরা গণ্যমানে শকাব্দে । কালীপদাভিলাষী স্মরহুরমহিষীমন্দিরং তৎপ্রতিষ্ঠাং ॥ চক্রে গঙ্গাসমীপে বিগতভবভয়ঃ শ্রীহরিশচন্দ্রদত্তঃ । সম্মতির্যস্ত রামেশ্বর ইতি নৃপতেৰ্ম্মন্ত্রী যত্নেন সাৰ্দ্ধং ॥” রাজ রাজচন্দ্র রায়ের ও রাজা আনন্দচন্দ্র রায়ের অতি দীনে রাজ এষ্টেট বহু টাকা ঋণগ্রস্ত হইয়াছিল । হরিশচন্দ্রের নাবালক অবস্থায় কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ বহু যত্ন করিয়াও ঋণ পরিশোধ করিতে পারেন নাই। হরিশচন্দ্র যখন স্বহস্তে রাজ্যভার গ্রহণ করেন, তখনও প্রায় ক্তিনলক্ষ টাকা ঋণ ছিল, হরিশচন্দ্রও নানা কারণে ঋণ পরিশোধ করিতে সমর্থ হইলেন না। ব্যয় সঙ্কোচ করিবার উদেখে তিনি পাটুলি নারায়ণপুরের বাট হইতে সেওড়াফুলীর বাটাতে আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন। তাছার মাতা কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত বাটতে বাস করিতে লাগিলেন, তথায় তিনি সন ১২৩২ সালে পরলোক গমন করেন। হরিশচন্দ্রের আত্মসম্মান ও তেজস্বিতার পরিচয় স্বরূপ একটী আখ্যায়িক। প্রচলিত রহিয়াছে । রাজা মনোহর রায় মাহেশের ঐশ্ৰীজগন্নাথদেবের মন্দির নিৰ্ম্মাণ ও সেবা পরিচালন জন্ত দেবোম্বর সম্পত্তি নির্দেশ করিয়া দেওয়ায় ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারীর শিষ্য কমলাকর পিপলাইএর বংশধরগণ মানৰাত্র। উপলক্ষে সেগুড়াফুলীর রাঙ্গাদিগের অনুমতি লইয়া ঠাকুরদের স্নান আরম্ভ করাইতেন। এখনও তাহাদিগের উক্ত সম্মান রহিয়াছে। সেওড়াফুলীর রাজবংশের ছয় আনি জ্ঞাতিগণ বালিতে বাস করিতেন। তাছাদিগের সম্পত্তি খণদয়ে বিক্রয় হইলে এঁরামপুরের জনৈক