পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

है. লঙ্গের জাতীন্ধ ইতিহাস {১ম অধ্যায় । মিত্রের চারিটি পুত্ৰ—শ্ৰীকণ্ঠ, মধুসুদন, পুণ্ডরীকক্ষ ও কালিদাস। শ্ৰীকণ্ঠ বেলুনে ও পুওরীকাক্ষ গোকর্ণে বাস করেন ও ইহঁাদের বংশধরগণ উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থশ্রেণী মধ্যে রহিয়াছেন । মধুসুদন সপ্তগ্রামে ও কালিদাস দক্ষিণরাঢ়ে বাস করিয়াছিলেন। দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থশ্রেণী মধ্যে কালিদাসের বংশ দেখা যায় । ঐকণ্ঠের পুত্র ব্যাস, তৎস্থত জয়পতি, তৎস্থত হৰ্ষ বা হরিশ্চন্দ্র, তৎস্থত পুরুষোত্তম । পুরুষোত্তমের চারিপুত্ৰ—কোচ, বট, বাচস্পতি ও নরসিংহ । কোচমিত্র বেলুনেই বাস করিয়া ছিলেন । বটমিত্র রাজা বল্লালসেনকে কণ্ঠা সম্প্রদান করিয়ছিলেন (২) উত্তররাটীয় কুলকারিকায় লিখিত আছে-- SSBBBBB BB BB BBBB BB BBBS BBBS BBB BB BBB BBBBBB S দূতং প্রেষা সমানীয় বল্লালে৷ গৌড়ভূপতিঃ সা কল্প পরিণীতবান যথাশাস্ত্র নিজেচ্ছয়। বল্লালপূজিতে ভূত্ব বটোহভূং মগধেশ্বরঃ । তাত-ভ্রাতৃ-পরিত্যাগী বিরাগী সৰ্ব্ববন্ধুষু | মগধtৎ পুনরায়াতে বটধারী ধনশ্বিযুৎ। রাঢ়ীয়াং গীয়তে সৰ্ব্বে কুলস্থানে পুনঃ স্থিতা: ॥”(৩) ভাগলপুর জেলার অন্তর্গত কাহালগাঁও ষ্টেশনের নিকটবৰ্ত্তী কোনও স্থানে বটমিত্রের রাঃ ধানী ছিল। কাহালগাঁও ষ্টেশন হইতে প্রায় দুই ক্রোশ ব্যবধানে যেখানে ভাগীরথী উত্তরবাহিনী হইয়ছেন, তথায় পূৰ্ব্বতটে পর্বতগাত্রে বটেশ্বরনাথ মহাদেবের মন্দির ও মহাদেবের নাম এখনও বটমিত্রের স্মৃতি রক্ষা করিতেছে । বটমিত্রের পুত্র মগধদেব মগধরাজ্য ভোগ করিয়াছিলেন । কুলগ্রন্থে ইনি টিকাইত মিত্র নামে পরিচিত । কিন্তু তাহার ভাগো বেশীদিন রাজ্যভোগ ঘটিল না । খৃষ্টীয় ১১৯৯ অব্দে মুসলমান-সেনানায়ক মহম্মদ-ই বখতিয়ায় খিলিজির তীক্রমণে হৃতরাজ্য হু বংশধর টিকাইত সপরিবারে বেলুনে প্রত্যাগমন করেন। তথায় আত্মীয়গণ হাদিগকে স্থান দিলেন না। ইহার দুইটা কারণ ছিল । প্রথম কারণ বল্লালের শ্লাদেশে ধ্যাসসিংহের শিরশেদ হইবার পর রাজা লক্ষ্মীধর সিংহ যখন সমস্ত স্বজাতিকে ভ্যাহবান করিয়া সমাজবন্ধন করিয়াছিলেন, তখন বল্লালের শ্বশুর বটমিত্রকে বর্জন করা হইয়ছিল । এজন্য কেহ সাহস করিয়া তাহার বংশধরগণকে সমাজমধ্যে গ্রহণ করিতে পারেন নাই। দ্বিতীয় কারণ বটমিত্রের বংশধরগণ মগধরাজ্যে বাস হেতু, তাহাদিগের ভাষা ও বেশভূষার অনেক পার্থক্য হইয়াছিল। মুসলমানকর্তৃক যুদ্ধে পরাস্ত হওয়ায় তাহারা অশ্বপৃষ্ঠে ও উষ্ট্রপৃষ্ঠে ধনরত্নাদি সহ এতদ্দেশে আগমন করিয়াছিলেন। স্ত্রীলোকেরাও পথে বিপদের আশঙ্কায় যোদ্ধ বেশে অশ্বপৃষ্ঠে আগমন করেন। বাঙ্গালীর চক্ষে এরূপ দৃপ্ত বিসদৃশ বলিয়া বোধ হইয়াছিল। বটfমত্রের রিচয় (২) বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, রাজস্থাকাণ্ডে বিস্তারিত বিবরণ দ্রষ্টব্য । (৩) “রাঢ়ীয়াং গীয়তে বড় কুলপঞ্জীবিবর্জিতা ।”—পাঠান্তয় ।