পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাণ্ডপ গোত্র দত্তবংশ । ] উত্তরপ্লাষ্ট্ৰীক্স يةtstas وج جينسجة లిలీ রাজা শ্ৰীমন্তদত্ত প্রবল প্রতাপে রাজ্যশাসন করিয়া ইহলোক পরিত্যাগ করিলে তৎপুত্র হরিশ্চন্দ্র রাজা হইয়াছিলেন। র্তাহার পুত্র সন্তান না হওয়ায় তাহার ভাগিনেয় (হরিরাম ঘোষের পুত্র) শুকদেব ঘোৰ দিনাজপুরের রাজাসনে অধিষ্ঠিত হইলেন। বর্তমান দিনাজপুররাজবংশ রাজ শুকদেব রায়ের বংশধর । * রাজা প্রাণনাথদত্ত ও খেতরী গোপালপুর শাখ। রাজা রামনাথের কনিষ্ঠ পুত্র প্রাণনাথ সম্ভবতঃ উন্নতির আশায় গৌড়ের দরবারে উপস্থিত হইয়াছিলেন। তাই কুলকারিকায় বর্ণিত হইয়াছে— - “প্রাণনাথ গৌড়ে গেলা । ভগবান উত্তরে রহিল ॥ প্রাণনাথের উভয় নন্দ । পুরুষোত্তম আর কৃষ্ণানন্দ ॥” পুরুষোত্তমের নাম অগ্ৰে লিখিত হইলেও কৃষ্ণানন্দ জ্যেষ্ঠ ও পুরুষোত্তম কনিষ্ঠ হইতেছেন, বৈষ্ণবগ্রন্থে তাহার প্রমাণ রহিয়াছে। নরোত্তমবিলাসে এইরূপ উদ্ধৃত হইয়াছে— “তথাহি সঙ্গীতমধষে— পদ্মাবতীতীরবর্তী গোপালপুরনিবাসী গোঁড়াধিরাজ-মহামাত্য শ্রীপুরুষোত্তমদ ওসত্তমতমুজ শ্ৰীসন্তোষদত্তঃ সহিত শ্ৰীনরোত্তমদত্তসত্তম মহাশয়ানাং কুলীয়ান, পিতৃব্যজ ভ্রাত শিষ্যস্তেন চ ঐরাধামাধবয়োঃ প্রকটলীলানুসারেণ লৌকিকরীত্য পূৰ্ব্বরাগাদি বিলসার্হ সঙ্গীতমধবং নাটকং বিরচয্য নানারঞ্জাদিদীনেনন্মিান, পুরস্কৃত্য সমপিতোহস্তি স এব প্রস্তুয়তাং ” নরোত্তমবিলাসে লিখিত আছে-- “জয় ঐঠাকুর মহাশয় নরোত্তম । লোকনাথ গোস্বামীর শিষ্য প্রিয়তম। শ্ৰীপুরুষোত্তমাগ্রজ কৃষ্ণানন্দ দত্ত। তার পুত্র নরোত্তম বিদিত সৰ্ব্বত্র ॥” আবার ঠাকুর নরোত্তমের জন্মকথা প্রসঙ্গে নরোজমবিলাসে লিখিত হইয়াছে— "শ্ৰীকৃষ্ণানদের পিতা পরম মহান, পৌত্রের কল্যাণে কৈল বহু অর্থান।” ঘলীবাহুল্য –নরোত্তম ঠাকুর মহাশষ রামপুর বোয়ালিয়ার ছয় ক্রোশ দূরে গড়েরহাট পরগণার অন্তর্গত ও পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত খেতরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । এই স্থান গোপালপুরের সামীল। নরোত্তমবিলাস ও বিদগ্ধমাধবপাঠে মনে হয়—নরোগুমের পিতামহই গোঁড়াধিরাজের সভায় মহামাত্যপদ লাভুের সহিত প্রভূত ধন অর্জন করিয়াছিলেন এবং সেই সঙ্গে মুসলমান স্বলতানের নিকট রাজোপাধি লাভ করেন। বৃদ্ধ বয়সে তিনি আপন রাজ্যভার জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণানন্থকে এবং গৌড়াধিরাজের মহামাত্যপদ পুরুষোত্তমকে দিয়া মান। নরোত্তমের জন্মকালে :িশুনি জীবিত ছিলেন। তবে পৌত্রমুখদর্শনের পর অনতিকাল পরেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করিয়া থাকিবেন। কারণ নরোত্তমের চরিতলেখকগণ তাহার বাল্যলীলা প্রসঙ্গে পিতা রাজা কৃঞ্চানন্দের উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু তাহার পিতামহের আর কোন উল্লেখ করেন নাই ।