পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাপ্তপ গোত্র দত্তবংশ । ] উত্তরপ্লাষ্ট্রীক্স কাজস্থ-কাes '\లిg অভিলাষী হইলেন। যখন তিনি শুনিলেন যে লোকনাথ গোস্বামী কাহাকেও শিষ্য করবেন না সঙ্কল্প করিয়াছেন, তখন অন্তরে নিদারুণ দুঃখ পাইয়া গোপনে তাহার সেবা আরম্ভ করেন। তৎসম্বন্ধে প্রেমবিলাসে লিখিত আছে— “আর এক সাধন যেই করে নরোত্তম । রাত্রিশেষে সেই সেবা করিল নিয়ম। যেই স্থানে গোসাঞি যায়েন বহির্দেশ। সেই স্থানে যাই করে সংস্কার বিশেষ।” অনুরাগবল্লীতে ইহাও লিখিত আছে— “মৃত্তিক শোঁচের তরে মুন্দর মাটী আনে। ছড়া কাটি জল আনে বিবিধ বিধানে।” • লোকনাথ ব্যাকুল হইলেন, কে এমন করে? একদিন রাত্রিশেষে তিনি বাহিরে আসিয়া সমস্তই দেখিলেন ও নরোত্তমকে জিজ্ঞাসা করিয়া পূৰ্ব্বোপর অবগত হইলেন । এইরূপে কয়েক বর্ষ সেবা করিবার পর নরোত্তমের আশা পূর্ণ হইল। গোস্বামী তাহাকে কৃপা করিলেন। ঐজীবের নিকট সমস্ত গোস্বামিগ্রন্থ পাঠ করিয়া তিনি অদ্বিতীয় পণ্ডিত হইয়া উঠিলেন ও জীবগোস্বামী প্রভৃতি তাহকে ঠাকুর মহাশয়’ উপাধিতে বিভূষিত করিলেন। “বৃন্দাবনে আনন্দ হইল সবাকার। দেখি নরোত্তমের অদ্ভূত অধিকার ॥ শ্ৰীজীবগোস্বামী বুঝি সবার আশয় । দিলেন পদবী শ্ৰীঠাকুর মহাশয় ॥” শ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্য এবং শু্যামাননাও অশেষ পণ্ডিত হইয়া উঠিয়াছেন। এই তিন জন দ্বার ত্রজীব বঙ্গদেশে ভক্তিগ্রন্থ প্রচার করিতে ইচ্ছা করিলেন এবং ভক্তিগ্রন্থপূর্ণ একটা সিন্দুক দশজন পদাতিক সঙ্গে দিয়া ইহাদের সহিত পাঠাইলেন। পথি মধ্যে গোপালপুর নামক স্থানে মল্লরাজ বীর হাম্বীর নিযুক্ত দস্থ কর্তৃক গ্রন্থগুলি চুরি যায়। শ্ৰীনিবাস গ্রন্থ অনুসন্ধান করিতে সেখানে থাকিলেন, নরোত্তম ও শুীমানন্দ খেতরীতে আসিলেন । অতঃপর নরোত্তম নবদ্বীপ ধামে গিয়া মহাপ্রভুর লীলা চিহ্ন সকল দর্শন করেন । তথা হইতে শান্তিপুর, ত্রিবেণী, খড়দহ ও খানাকুল এই সকল পাট দর্শন করিয়া নীলাচলে গমন করেন । নীলাচল হইতে শ্ৰীখণ্ডে আসিয়া নরহরি দাস ঠাকুরের সঙ্গ ও কৃপা লাভ করেন। অনস্তর তিনি কাটোয়ায় গমন করেন—এখানে চৈতন্তদেব সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ও এখানে তাহার শেষচিহ্ন কেশের সমাধি দর্শন করেন । ঠাকুর মহাশয় পুনৰ্ব্বার খেতরী আগমন করিলেন। খেতরীতে কীৰ্ত্তনাননের বস্ত বহিল। এখানে তিনি বিগ্রহ স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। বৃদ্ধ রাজা কৃষ্ণানন্দ নিজে এ বিষয়ে উদ্যোগী হইলেন। পূৰ্ব্ব হইতেই ঠাকুর মহাশয়ের উদ্ভাবিত গরাণহাট কীৰ্ত্তন পূৰ্শোস্তমে চলিতে লাগিল । কথিত আছে একীৰ্ত্তনে স্বগণ মহাপ্রভু আৰিভূত হইয়াছিলেন। ফাৰুনী পূর্ণিমায় বিগ্রহ স্থাপিত হইল। স্থাপিত বিগ্রহ ছয়টার নাম ঠাকুর মহাশয়ের রচিত নিয়ের শ্লোকটীতে আছে— 彝 "গৌরাঙ্গ বল্লভীকান্ত শ্ৰীকৃষ্ণ ব্ৰজমোহন। রাধারমণ হে রাধে রাধাকান্ত নমোস্তু তে ॥”