পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, প্রথমাংশ, রাজন্য কাণ্ড).djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ९ ] কাণী লুট করেন।” কিন্তু ঐ সময়ে মহীপালদেবের রাজ্যাবসান হইয়াছিল, এই হেতু উক্ত ংশ ১ম মহীপালের পুত্র নয়পাল প্রসঙ্গে ১৮৪ পৃষ্ঠায় পাঠ করিতে হইবে। ১ম মহীপালদেব প্রায় ৯৭৫ হইতে ১০২৬ এবং তৎপুত্র নয়পাল ১০২৬ হইতে ১·৪১ খৃঃ অন্ধ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন । & ১৮০ পৃষ্ঠায় তিস্ত নদীতীরে যে ধৰ্ম্মপালের সহিত রাণী ময়নামতীর যুদ্ধবিগ্রহের কথা বর্ণিত হইয়াছে, তাছাকে আমরা কামরূপপতি ধৰ্ম্মপাল বলিয়া মনে করি । অল্প দিন হইল, কামরূপের প্রত্নতত্ত্বজ্ঞ শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র গোস্বামী মহাশয় উক্ত ধৰ্ম্মপালের এক থানি তাম্রশাসন পাইয়াছেন, তাহা হইতে আমাদের পূৰ্ব্বমত সংশোধন করিবার সুবিধা হইয়াছে। কামরূপপতি ধৰ্ম্মপালের সহিত দন্তভূক্তিপতি ধৰ্ম্মপালের কোন সম্বন্ধ নাই। যে সময়ে ১ম মহীপাল উত্তরপশ্চিমপ্রদেশে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত ছিলেন, বোধ হয় তৎকালেই দন্তভুক্তিপতি ধৰ্ম্মপাল কিছু দিনের জন্ত বরেন্দ্র অধিকার করেন ও সেই সময়ে কাশুপ গোত্রীয় স্বর্ণরেখকে করঞ্জ' গ্রাম দান করিয়া থাকিবেন । ১ম মহীপালের প্রত্যাগমনের সহিত ধৰ্ম্মপালকেও স্বরাজ্যে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে হয় । ২৭৯ পৃষ্ঠায় বৰ্ম্ম-বংশ-প্রসঙ্গে লিখিত হইয়াছে যে, হিমালয়-প্রদেশস্থ পাৰ্ব্বত্য সিংহপুর রাজ্যে বজবৰ্ম্মার অভু্যদয়। হিমালয়-প্রদেশে অতিপ্রাচীন কালে যাদববংশের অভু্যদয় হইলেও এবং তথায় বরাবর যাদববংশ বিদ্যমান থাকিলেও চীন-পরিব্রাজকের ধর্ণনা হইতেই যখন দেখা যাইতেছে যে, খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীর প্রারম্ভেই সিংহপুর-রাজ্য কাশ্মীর-শাসনাধীন হইয়াছিল, তখন ভোজবৰ্দ্ধার শিলালিপি-রচয়িত খৃষ্টীয় ১১শ শতাব্দীর শেষে সেই সিংহপুরের উল্লেখ করিয়া গৌরব প্রকাশ করিবেন কি না, তাহ যেন কেমন সন্দেহজনক ! সিংহ বা কেশরিংশ-শাসিত উৎকলের রাজধানীকেও সিংহপুর বলিয়া মনে হইতেছে না । জাতবৰ্ম্মার বীরত্বের পরিচয়-প্রসঙ্গে পাওয়া যাইতেছে যে তিনি অঙ্গ, বরেন্দ্র, কামরূপ প্রভৃতি আক্রমণ করিয়া ছিলেন, কিন্তু রাঢ় বা বঙ্গ আক্রমণের উল্লেখ নাই। এদিকে হরিবর্মু ও ভোজবল্মার শাসন এবং ভবদেবের অনস্তবাসুদেব-প্রশস্তি হইতে মনে হয়, যখন রাঢ়বাসী ব্রাহ্মণের প্রধানতঃ উক্ত ঘৰ্ম্মসৃপতিগণের সভা উজ্জল করিয়াছিলেন এবং হরিবর্মীর আধিপত্য-কালে রাঢ়ের নানাস্থানে ভবদেব সরোবর প্রতিষ্ঠা ও পথনিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি সৎকাৰ্য্য করিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন, তখন বলিতে পারি যে, রাঢ়দেশের একাংশেই বৰ্ম্মবংশের অভু্যদয় । রাঢ়দেশের হুগলী জেলায় "সিজুর’ নামে যে প্রাচীন গওগ্রাম রহিয়াছে, ঐ সিঙ্গুরকেই ভোজদেবের বেলাবলিপি বর্ণিত সিংহপুর” বলিয়া মনে হয়। ভারতের পুরাতত্ত্ব-আলোচনা করিয়া বুঝিয়াছি যে, আর্য্য-নৃপতিগণ এক শাসনকেন্দ্র পরিত্যাগ করিয়া অতি দূরদেশে আসিয়া সেই পুৰ্ব্ব নামেই স্ব স্ব শাসন-কেন্দ্রের নামকরণ করিতেন । এইরূপে পূৰ্ব্বকালে হিমালয়ের সিংহপুর ত্যাগ করিয়া রাঢ়দেশে আসিয়া যেখানে উtহার প্রথম অধিষ্ঠিত হম, সেই স্থানেরও পুৰ্ব্বনামানুসারে সিংহপুরই নামকরণ হইয়া থাকিৰে । পূৰ্ব্বেই লিখিয়াছি, খৃষ্টায় ৭ম শতাব্দে সিংহপুর কাশ্মীর-রাজ্যের অধীন সামন্তরাজ্য