পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অংশ । ] বৈশ্ব-সাম্রাজ্য २२१ একজন মহাযোদ্ধা ছিলেন। তিনি সিন্ধুরাজ হম্মক ও চেদিরাজকে পরাজয় করেন। তাহার ক্ষেমরাজ ও কর্ণ নামে দুই পুত্র জন্মে। : জ্যেষ্ঠ (ಶ್ಲೆমিত্রাজ্য গ্রহণ করেন নাই। উহার পুত্রের নাম দেবপ্রসাদ । দেবপ্রসাদের বিনপাল নামে এক পুত্র জন্মে। ক্ষেমের অনুজ কর্ণদেব পিতৃসিংহাসনে অভিষিক্ত হন । তিনি কদম্বরাজ জয়কেশির কণ্ঠ ময়াশল্পদেবীর পাণিগহণ করেন। তাহার গর্ভে জয়সিংহ সিদ্ধরাজের জন্ম। জয়সিংহ উজ্জয়িনীরাজ যশোবর্ম ও বর্বরকে পরাজয় করেন। অবন্তিরাজকে জয় করিয়া আসিয়া সিন্ধুপুরে সরস্বতীনদী তীরে রুদ্রমাল নামে বৃহৎ শিবালয় ও জৈনতীর্থঙ্কর মহাবীর স্বামীর মন্দির প্রভৃতি বহুতর কীৰ্ত্তি স্থাপন করেন। ইনি ১১৯৯ বিক্রম সংবৎ পর্য্যস্ত রাজত্ব করিয়া কুমারপালকে রাজ্য দিয়া যান । দ্ব্যtশ্রয়ের মতে, কুমারপাল উক্ত ত্রিভুবনপালের পুত্র। ইনি ১১৯৯ বিক্রমাব্দে সিংহাসনে অভিষিক্ত হন, ই হার যত্নে জৈনধৰ্ম্মের সবিশেষ উন্নতি হইয়াছিল। কুমারপাল প্রথমে জয়সিংহের নিকট থাকিয়া দধিস্থলীতে রাজ্যশাসন করেন । তিনি প্রসিদ্ধ জৈনাচাৰ্য্য হেমচন্দ্রের নিকট সর্বদাই জৈনধর্মের সদৃপদেশ লাভ করিতেন। জয়সিংহ কুমারপালের পিতা ত্রিভুবনপালকে গোপনে বিনাশ করেন, পরে র্তাহাকেও তাহার অমুবৰ্ত্ত করিবার চেষ্টায় ছিলেন, কুমারপাল জানিতে পারিয়া সতর্ক হন । কুমার সর্বদাই মন্ত্ৰিগৃহে লুকায়িত থাকিতেন। একদিন জয়সিংহের নিযুক্ত চর সন্ধান পাইয়া সেস্থানে উপস্থিত হয়। এখানে হেমচন্দ্র মিথ্যাকথায় চরকে ভুলাইয়া কুমারকে রক্ষা করেন। কুমারপাল সেইদিনই ভৃগুকছে পলায়ন করিলেন। পরে কৈলস্বপত্তনে উপস্থিত হইলে, কৈলম্বরাজ নিজ রাজ্যের অৰ্দ্ধাংশ র্তাহাকে প্রদান করেন। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানপুর ও উজ্জয়িনী প্রভৃতি স্থানে কিছুদিন থাকিয় নগেন্দ্রপত্তনে আসিয়া তাহার ভগিনীপতি ঐকৃষ্ণদেবের গৃহে অবস্থান করেন । ( ভগিনীর নাম প্রেমল দেবী । ) - ংবৎ ১১৯৯ তাদে মাগশীর্ষে কৈলম্বরাজের সাহায্যে কুমারপাল সিদ্ধরাজকে দমন করিয়া পুনর্বার রাজ্য লাভ করেন । এই সময়ে তাহার বয়ঃক্রম ৫০ বৎসর । তৎপরে তিনি স্বরাষ্ট্র, ব্রাহ্মণবাহক, পঞ্চনদ, সিন্ধুগেীর அ tন স্থান জয়

  • " se

(৫) আবার কোন জৈন পুথিতে লিখিত আছে, মাধগন্ধ সিন্ধরাজের ভগিনী রত্নchata oil (Dr. Bhaudarkar's Report on the Sanskri Mss, 1883-84, p. 11.) এইরূপ আরও মতভেদ আছে ।