পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অংশ ] সৌলুক-অগরবাল-বংশ ২৬৭ অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণগণের যজ্ঞীয় অগ্নিকুণ্ডগুলি ভাঙ্গিয়া দিয়া যান। সেই সময় অগরুপ্রদাতা বৈশুগণ এ স্থান পরিত্যাগ করিয়া ( অগ্রবন বা ) আগ্রায় আসিয়া বাস করেন। এখানে বাস করিয়া তাহারা অগরবাল নামে প্রথিত হইলেন ।ঙ্গ ৩য়—লক্ষ পরিবারসহ অগ্রসেন নামে এক বৈশ্য রাজা রাজত্ব করিতেন । এই অগ্রসেনের পূর্বপুরুষ ধনপাল দাক্ষিণাত্যে ( কাহারও মতে রাজপুতানার অন্তর্গত ) প্রতাপনগরের রাজা ছিলেন । তাহার শিব, নল, অনল, ননী, কুন্দ, কুমুদ, বল্লভ ও শুক এই আটপুত্র এবং মুকুতা নামে এক কন্যা জন্মে। তৎকালে বিশাল নামে এক রাজা ছিলেন, তাহারও পদ্মাবতী, মালতী, কাস্তি, সুভদ্র, সুর, মর, বসু ন্ধর ও রজ নামে ৮ট কন্যা ছিল । ধনপালের উক্ত আট পুত্রের সঙ্গে বিশালের আট কন্যার বিবাহ হয়। নল সন্ন্যাসী হইয়া যান, অপর সাত পুত্র স্ব স্ব অধিকৃত জনপদে রাজত্ব করিতেন । শিবের বংশে বংশানুক্রমে বিষ্ণুরাজ, মৃদর্শন, ধুরন্ধর, সমাধি, মোহনদাস ও নেমনাথ রাজ্যভোগ করিয়াছিলেন। নেমনাথ হইতে নেপt. লের নামকরণ ও তথায় লোকবাস হইয়াছিল। র্তাহার পুত্র বৃন্দ বৃন্দাবনে বহু যজ্ঞ করিয়াছিলেন। র্তাহার পুত্র গুর্জর ( গুজরাটে গিয়া ) স্বনামে রাজ্যস্থাপন ও আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন। গুপ্তরের পুত্র হরিহর, তৎপুত্র রঙ্গরাজ, র্তাহার অধস্তন ৫ম পুরুষ অগ্রসেন। অগ্রসেন নাগরাজ কুমুদের কন্যা মাধবীকে বিবাহ করেন। এই বিবাহের পর তিনি বারাণসী ও হরিদ্বারে কএকটা প্রধান যজ্ঞ করিয়াছিলেন । তৎপরে তিনি কোহলাপুরে গিয়া স্বয়ম্বরে মহীধররাজকন্যাকে লাভ করেন । অতঃপর দিল্লীর নিকট আসিয়া আগ্রা ও অগ্রোহা নগরে রাজধানী স্থাপন করিয়া তিনি হিমালয় হইতে অমুগাঙ্গ্যপ্রদেশ, এমন কি মরুস্থলী পর্য্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন। তাহার অষ্টাদশট রাণী ছিলেন, তাহদের গর্ভে ৫৪টা পুত্র ও ১৮ট কন্য। জন্মে। বৃদ্ধবয়সে রাজা অষ্টাদশ রাণীকে দিয়া এক বৃহৎ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন, প্রত্যেক রাণীর যজ্ঞ নির্বাহের জন্য এক এক জন আচাৰ্য্য নিযুক্ত হইয়াছিলেন, এবং এই ১৮জন পুরোহিতের গোত্রানুসারে উtহার বংশধরগণ-মধ্যে বিভিন্ন গোত্র প্রচলিত হয় । শেষ যজ্ঞ সম্পন্ন হইবার সময় বাধা পড়ে ; এজন্য তাহা হইতে অৰ্দ্ধগোত্র হইল । এইরূপে অগ্রসেনের বংশধরগণের মধ্যে ১৭ইট গোত্র প্রচলিত হইয়াছিল। এই

  • Crooke's Tribes and Castes of N. W. P. Wol. I. p. 15.