পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ફ બ્રામ !! বীরেন্দ্র ব্রাহ্মণ-বিবরণ 》Q○ রঘুননান নিঃসন্তান ছিলেন । সুতরাং তাহার জ্যেষ্ঠ রাজা রামজীবনের পুত্র কুমার কালীপ্রসাদের মৃত্যুর পর রামকান্তকে দত্তক গ্রহণ করিলেন। রাজ রামকান্ত নিরাবিল পটীর কুলীন রসিক রায়ের ঔরস পুত্র। রসিক রায় ভাদুড়ী বংশীয় শ্ৰীকৃষ্ণ ভাদুড়ীর তৃতীয় পুত্র । জগদানন্দ রায় হইতে অধস্তন যষ্ঠ পুরুষ । তৎকালে দত্তক পুত্র দান বা গ্রহণ করিলে কুলীনের কুলপাত হইত। রাজা রামকান্তকে নাটোরের রাজাৰ দত্তক পুত্র দেওয়ায় কুলীনেরা রসিক রায়কে কুলীন সমাজে গ্রহণ করিতে সক্ষত হইলেন না। রাজ রামজীবন কুলজ ও কুলীনদিগকে নাটোরে আনাইয়া অধ্যাপক - দিগের নিকট ব্যবস্থা লইয়া ও কুলঞ্জ মধ্যস্থ রাপিয়া রসিক রায়ের সহিত নিরাবিলের পটার · কুলীনগণের পালট পালটি করণ করাষ্টয়া রসিক রায়ের কুণরক্ষা করেন । এই সময় হইতে নিরাবিল পটার দুই থাক ছন্ন। এক্ষণে দত্তক পুত্র গ্রহণে আর কুলপাত হয় না এবং কুলীনদিগেরও দুই খাকে কোন বাধাবাধি নাই। রাজ রামকাম্ভের পত্নীই স্বপ্রসিদ্ধা ও প্রাতঃস্মরণীয়। রাণী ভৰানী । বর্তমান বগুড়া জেলার অন্তর্গত ছাতানী গ্রাম নিবাসী আত্মারাম চৌধুরীর ঔরসে ও জয়দুর্গার গর্ভে রাণী ভবানীর জন্ম হয়। পঞ্চদশ বর্ষ বয়সে র্তাহার সহিত রাজা রামকাস্তের বিবাহ হয় । তিনি অসাধারণ বুদ্ধিমতী ছিলেন। বিষয় বুদ্ধি ঠাছার অত্যন্ত প্রখর ছিল। রাজ রামকান্ত স্বীয় বুদ্ধিদোষে বৃদ্ধমন্ত্রী দয়ারামের সঙ্গে বিবাদ করিয়া বিষয়ু হারান ও অবশেষে জগৎ শেঠের গৃহে অশুন্থ গ্রহণ করেন। দয়ারাম রামকাস্তের অনুতাপ দেখিয়া দয়াপরবশ হইয়। নবাব সরকার হইতে নানা কৌশলে রামকাম্ভের নষ্ট সম্পত্ত্বির পুনরুদ্ধার করেন। 霸 রাণী ভবানীর দুই পুত্র ও এক কন্য। জন্মে। কিন্তু পুত্র দুইটী অকালে মৃত্যুমুখে পতিত ছ। বাঙ্গলা ১১৫৩ সালে ( ইংরাজী ১৭৪৬ খৃষ্টাব্দে ) রামকান্ত রাণী ভবানীকে দন্তক পুত্র লইবার অনুমতি দিয়া পরলোক গমন করেন। ইহার পর রাণী ভবানীই রািজলাহী জেলার একমাত্র অধীশ্বরী হইলেন। রাজসাহী জেঙ্গার খাজুর গ্রাম নিৰালী অধুনাৰ লাহিড়ীর সহিত রাণী ভবানীর কস্তা তারার বিবাহ হয়। ৱিৰাছের পর রাণী ভবানী জামাতার হন্তে রাজ্যভার অর্পণ করেন, কিন্তু বাঙ্গলা ১১৫৮ সালে রঘুনাথের মৃত্যু হয়। তখন রাণী তৰানী আবার স্বয়ং রাজ্য পরিচালনা করিতে আরম্ভ করেন। তিনি অৰ্দ্ধ শতাব্দী কাল ধরিয়া রাজ্য পরিচালনা করিয়া বাঙ্গালীর মুখোজ্জল করিয়া গিয়াছেন। রাণী ভবানীর রাজ্য এত বিশাল ছিল যে তাহ হইতে দেড় কোট টাকা রাজস্ব জাদায় হইত। ইহার মধ্যে ৭০ লক্ষ টাকা সরকায়ে কর স্বরূপ প্রদত্ত হইত। এত বড় বিশাল রাজত্ব পরিচালনা করিতেন বলিয়াই তিনি “অৰ্দ্ধ বঙ্গেশ্বরী নামে খ্যাত হন। পলাশীর যুদ্ধের পূৰ্ব্বে তিনি সমগ্র বঙ্গের রাজনৈতিকগগনের উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক ছিলেন। & е द्रोंशकोंडू স্বাণী ভৱানী ब्रांडटेनकिक बौवन