পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস ' [ ব্রাহ্মণকাও ৷ • ونلا কৃষ্ণমঙ্গল বড়ল নদীর তীরবর্তী দশপাকিয় নামক স্থানে সাধনা করিতেন। ঐ স্থান তাহার গৃহ হইতে প্রায় ১ ক্রোশ দূরে অবস্থিত। এখনও সেই সাধনক্ষেত্র বর্তমান আছে। কালের করাল স্রোতে তাহা ভীষণ অরণ্যে পরিণত হইয়াছিল। বর্তমানে কোন সাধু পুরুষের ঐকাস্তিক চেষ্টায় পুনরায় তাহ অরণ্যবিমুক্ত হইয়া মনোরম আশ্রমে পরিণত হইয়াছে। কৃষ্ণমঙ্গলের পুত্র রামতোষণ বিদ্যালঙ্কার প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও তান্ত্রিক সাধক ছিলেন। তৎরচিত “প্রাণতোষিণী” তন্ত্রে তাহার পাণ্ডিত্য, শাস্ত্রজ্ঞান ও তন্ত্রের গভীর গবেষণার সম্যকৃ পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি কলিকাতায় হাতীবাগানে চতুষ্পাঠী স্থাপনপূর্বক অধ্যাপন করিতেন। খড়দহের প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস নামক বিশিষ্ট ধমীর অর্থানুকূল্যে এই গ্রন্থ মুদ্রিত হওয়ায় এই বিশ্বাস-বংশকে তৎপ্রণীত গ্রন্থে চিরকালের জন্য অমর করিয়া রাখিয়াছেন । ঐ গ্রন্থের গুরুশিষ্য লক্ষণে তিনি লিখিয়াছেন “আমার অত্যতিবৃদ্ধপিতামহের তন্ত্রসারে এই লক্ষণ উক্ত হইয়াছে।” এবং আত্মপরিচয় প্রদানকালে তিনি বলিয়াছেন “আমি সাতু আচার্য্যের পৌত্র এবং কৃষ্ণমঙ্গলের পুত্র।” - রামতোষণের ভ্রাত রামলোভনও তান্ত্রিক সাধক ছিলেন। “কথিত আছে, বলিহারের ( রাজসাহী ) কোন রাজপুত্রের সৌন্দর্য্যহীনতার জন্ত বিবাহে বিঘ্ন ঘটায় রামলোভন কোন তান্ত্রিক ক্রিয়ার জন্ত রাজধানীতে আহত হন। রামলোভন তান্ত্রিক যজ্ঞান্তে যজ্ঞাবশিষ্ট ভস্ম দ্বার রাজপুত্রের ললাটে একটী তিলক প্রদান করেন । তিলক যতদিন স্থায়ী থাকিবে ততদিন রাজপুত্রকে অসীম কান্তিমান পুরুষ দেখাইবে। এই ক্রিয়ার অত্যাশ্চৰ্য্য ফলে সস্তুষ্ট হইন্ম বলিহার-রাজ রামলোভনকে রংপুর জিলার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর নামক মৌজাখানি নিষ্কর ব্রহ্মোত্তর দান করেন । এখনও সেই ব্রহ্মোত্তর তাহার ওয়ারিশগণ ভোগ করিতেছেন। রামলোভনের পুত্র গুরুপ্রসাদ একজন জিতেন্দ্রিয়, শাস্ত্ৰজ্ঞ, ধাৰ্ম্মিক, অতিথিপরায়ণ অধ্যাপক ছিলেন। তিনিও পিতাপিতামহের দ্যায় বহু বিদ্যার্থী ছাত্রকে অন্ন ও বিদ্যা দান করিতেন। এই বিষয়ে তাহার জ্যেষ্ঠতাতপুত্র পণ্ডিত রামরমণ বিদ্যারন্থের অনেক সাহায্য পাইতেন। রামরমণ বলিহার-রাজের সভা-পণ্ডিত ছিলেন এবং তথা হইতে ভ্রাতাকে অর্থামুকুল্য করিতেন। বলিহার রাজধানী হইতে লিখিত পত্রে এ বিষয়ের যথেষ্ট প্রমাণ *ांGब्रां यांव्र ! 顧 雖 গুরুপ্রসাদের পুত্র সারদাপ্রসাদও পিতৃনাম রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তিনিও নিজ গৃহে চতুষ্পাঠী স্থাপন করিয়া নিজবায়ে বিষ্ঠার্থীকে সাহিত্য, অলঙ্কার, ব্যাকরণ, ও স্মৃতি শিক্ষা দিতেন। সারদাপ্রসাদের একটী মহৎ গুণ ছিল বাহা এখনকার দিনে কচিৎ দৃষ্ট হয়। র্তাহার গৃহে যে সংখ্যক অতিথি যে সময়েই আমুক না কেন তিনি কখনও তাহাদিগকে বিমুখ করিতেন না। অনেক সময় এমন হইত যে বাড়ীর পুরুষদিগের আহার শেষ হইয়াছে, ৩৪টা অতিথি আসিয়া উপস্থিত। গৃহিণীর তীহাদের ভোজ্য অল্প অতিথিকে দিয়া নিজের চিড়ামুড়ী খাইয়া দিন কাটাইলেন।