পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ-বিবরণ ኟዓ¢ প্রজাদিগের বিশেষ অনিষ্ট করে। তজ্জন্ত কাশীনাথের আদেশে সেই হাতীটাকে মারিয়া ফেলা হয়। নবাব সেই সংবাদ পাইয়া কাশীনাথের প্রতি রুষ্ট হইয় তাহাকে বন্দী কয়িতে লোক পাঠান। তছুবণে কাশীনাথ সপরিবারে দক্ষিণদিকে পলায়ন করেন। কিছু দিনের পর জলঙ্গী নদীর নিকটবৰ্ত্তী বাগ ওঁয়া পরগণার অন্তর্গত আন্দুলিয়া গ্রামে নবাবের লোকের হাতে কাশীনাথ বন্দী হইলেন । পথিমধ্যে তিনি রাজপুরুষগণের হস্তে হিত হন। র্তাহার পত্নী দুই সহস্ৰ সুবর্ণমুদ্রা ও দুই একটী বিশ্বাসী লোকসহ বাগওয়ান পরগণার জমিদার আন্দুলিয়াবাসী হরেকৃষ্ণ সমাদারের আশ্রয় গ্রহণ করেন। তৎকালে সেই রমণী গর্ভবতী ছিলেন । হরেকৃষ্ণ তাঁহাকে বিশেষ যত্ন করিতেন। যথাকলে তিনি এক পুত্র প্রসব করিলেন। এই পুত্রের নাম রামচন্দ্র। হরেকৃষ্ণের পু৭সন্তান না থাকায় তিনি রামচন্দ্রকে উত্তরাধিকারী করিলেন। এই কারণেই রামচন্দ্র রামসমাদর নামে খ্যাত। রামচন্দ্রের চারিপুত্র, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠের নাম ভবানন্দ । ভবানন্দ, বাল্যকাল হইতেই অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন ছিলেন। ভারতচন্দ্র কালিকামঙ্গলে লিখিয়াছেন, ইনি পূৰ্ব্বজন্মে নলকুবের ছিলেন, অভিশপ্ত হইয়া ভবানন্দরূপে জন্মগ্রহণ করেন। তখনকার ফৌজদার ভবাননের ধীশক্তির'পরিচয় পাইয় তাহাকে লইয়া গিয়া রীতিমত লেখাপড়া শিখাইয়া ছিলেন। তাহাতে ভবানন্দ পারস্তভাষায় ব্যুৎপন্ন হন। অনুমান ১৬১৪ খৃষ্টাব্দে ভবানন্দ নবাবকে প্রমল্প করিয়া কানুনগো-পদ ও মজুমদার উপাধি লাভ করিগেন। ইহার কএক বর্ষ পরে তিনি পৈতৃক জমিদার ফতেপুর, কুড় লগাছী ও পাটুকাবাড়া আপন তিন সহোদরকে ভাগ করিয়া অবশিষ্ট সম্পত্তি আপনি লইলেন । এই সময় রাজা প্রতাপাদিত্য স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। র্তাহাকে দমন করিবার জন্ত দিল্লীশ্বর মানসিংহকে পাঠাইপ্পা দেন। ভবানন্দ তখন কানুনগে, তিনি মানসিংহের সন্মানার্থ বদ্ধমানে গিয় তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । মানসিংহ তাছার বহু বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণত। দর্শনে তাহাকে সঙ্গে রাখিলেন । প্রতাপাদিত্যকে দমন করিবার নিমিত্ত ভবানন্দ অশেষ কষ্ট স্বীকার ও মানসিংহকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন। তজ্জন্ত মানসিংহ যশোর হইতে প্রত্যাগমন-কালে ভবানদের প্রার্থনানুসারে তাহাকে মহৎপুর, নদীয়া, মারূপদহ, লেপ, মুলতানপুর, কাশিমপুর, বয়স, মণ্ডও প্রভৃতি ১৪ খানি পরগণার জমিদার, প্রদান করিলেন ও দিল্লীঘাত্রাকালে তাহাকে সঙ্গে লইলেন। দিল্লীশ্বর তাহার কুল ও গুণের পরিচয় পাইয়। মানসিংহ প্রদত্ত ১৪ খানি পরগণার ফরমাণ দিতে (১৯১৭ হিজরী=১৬০৬ খৃঃ অব্দে ) আদেশ করিলেন। কিছুদিন পরে ভবানন্দ বাদশাহের নিকট বিদায় লইয়া ফরমাণ, নহবৎ, ডঙ্কা, ঘড়ি ও নিশান ইত্যাদি সন্মানস্বচক দ্রব্য সহ স্বদেশে ফিরিয়া আসিলেন। এবার তিনি মাটিয়ার গ্রামে বাজবাদী প্রস্তুত কর" । ১৬১৩ খুঃৱে ( ১৯২২ হিজরী) তিনি বাদশাহের অনুগ্রহে উখড়া, ভ' .ষ্টস্লামপুর প্রভৃতি আর কএকখানি পরগণা ও তদুপলক্ষে এক ফরমা மு. ச تمز - ভবানন্দই প্রকৃত প্রস্তাবে বর্তমান নবদ্বীপ-রাজবংশের, ദ്രു' বংশের