পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•) 蠢 প্রায় নয় বর্ষ অতীত হইল, আমাদের বিশ্বকোষ নামক বৃহদভিধানে “কুলীন" শব্দ প্রকাশিত হয়। এই কুলীন শব্দ লিখিবার সময় রাঢ়ীয় কুলাচাৰ্য্য প্রিয়নাথ ঘটক মহাশয়ের নিকট হইতে রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণদিগের অনেকগুলি কুলগ্রন্থ প্রাপ্ত হই এবং কোটালিপাড়ের সুবিখ্যাত । নৈয়ায়িক মহামহোপাধ্যায় রামনাথ সিদ্ধান্তপঞ্চানন মহাশয় পাশ্চাত্য-বৈদিকগণের কএকখানি স্কুলগ্রন্থ নকল করিয়া পাঠাইয়া দেন। আমি বিক্রমপুৰ, ইদিলপুর, যশোর ও বিষ্ণুপুর প্রভৃতি নানাস্থান হইতে নানাজাতির কএকখানি কুলগ্রন্থ সংগ্ৰছ করি। কিরূপে সেই অমূল্য জাতীয় ধন রক্ষিত হয়, কিরূপে বঙ্গবাসী বুঝবেন যে, আমরা এখন অবনতির চরম সীমায় উপনীত হুইলেও আমাদের স্পদ্ধার জিনিস জাতীয় গৌরব প্ৰকাশক শত শত সামাজিক গ্রন্থ আছে, যদ্বারা সভ্যজগৎ বুঝিবেন যে, বাঙ্গালীকে যেমন ভীরু কাপুরুষ ও স্বদেশের ইতিহাসানভিজ্ঞ মনে করা যায়, বাস্তৰিক তাহ নহে। যাহ পাশ্চাত্য জগতের কোন দেশে নাই, এই দীনহীন বঙ্গবাসীর তাহ আছে ; বঙ্গের প্রতি জাতি, প্রতি শ্রেণী ও প্রতি সম্প্রদায়েব পরিচয় দিবার ‘অমূল্য ধন লুক্কায়িত আছে । w ঐ সকল অমূল্য সামগ্রী রক্ষা করিবার জন্য আমি অনেক চিন্তা করিয়াছি। কিন্তু মাদৃশ অধমের এ-দুরাশ সফল হইবার কখন সুযোগ ঘটে নাই। অবশেষে নড়াইল হাটবাড়িয়ার সুযোগ্য জমিদার শ্ৰীযুক্ত গোবিন্দচন্দ্র রায় মহাশয়ের আগ্রহে ও উৎসাহে এই মহাব্ৰত গ্রহণ করিবার সময় পাইলাম। গোবিন্দ বাবু বিশ্বকোষের "কুলীন” শব্দ পাঠ করিয়া কায়স্থ-সমাজের বিস্তৃত ইতিহাস লিখিবার জন্ত আমাকে মনুরোধ করেন এবং এই মহাকার্য্যের ব্যয়ভার বহন করতে সম্মত হন । র্তাহার উপদেশে উৎসাহিত হইয়া আমি বঙ্গীয় সকল জাতির ধারাবাহিক ইতিহাস প্রকাশে যত্নবান হইলাম । এই মহাকাৰ্য্য-সম্পাদনার্থ সকল জাতির সকল শ্রেণীর সৰ্ব্ব প্রকার কুলগ্রন্থ সংগ্ৰহ করিবার .জন্য নানাস্থানে লোক প্রেরণ করি এবং নিজেও বিক্রমপুর, যশোর, রাণাঘাট প্রভৃতি স্থানের কুলাচাৰ্য্যদিগের গৃহে গিয়া প্রাচীন কুলগ্রন্থসমূহ, অনুসন্ধাম করিয়াছিলাম। তৎকালে পুৰ্ব্ববঙ্গের সাহিত্যরথী শ্ৰীযুক্তরায় কালীপ্রসন্ন ঘোষ বাহাদুৰ, পূজ্যপাদ ত্রযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এবং মাননীয় ত্রযুক্ত গোবিন্দচন্দ্র রায় মহাশয় আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়া কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিয়াছেন । 输 伞 অনুসন্ধানকালে যশোর জেলাস্থ ব্রাহ্মণডাঙ্গার স্ব প্রসিদ্ধ কুলাচাৰ্যা ৮বংশীবদন বিস্তারত্বের গৃহে অনেক দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক প্রাচীন কুলগ্রন্থ দেখিতে পাই, কিন্তু তাহার কল্প ( বর্তমান গৃহস্বামিনী ) ঐ সকল পবিত্র গ্রন্থ হস্তান্তর করিতে অসম্মত হওয়ায় আমি নিজহস্তে ঐ সকল গ্রন্থ নকল করিয়া আনিয়াছি । রাণাঘাটের স্ব প্রসিদ্ধ প্ৰসাতকড়ি ঘটক মহাশয়ের সংগৃহীত পুথি হইতেও অনেক ঐতিহাসিক তত্ত্ব সংগ্ৰছ করিয়াছি। সাহিত্যবান্ধব প্রফুল্লবাবুও ইতিপূৰ্ব্বে ফরিদপুর প্রভৃতি নানাস্থানের প্রথিত কাচাৰ্য্যগৃহ হইতে রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণগণের ইতিহাস লিখি#ার জন্ত বহুতর কুলগ্রন্থ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। পরে আমার উদ্দেশু অবগত হইয় তিনি- জাপদ