পাতা:বঙ্গের প্রতাপ-আদিত্য - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7eg gy est-frey y শুনেছিলুম, নসীবে। কখন দেখা হয় নি, তোমার কল্যাণে সেটাও আজি আমার দেখা হ’ল ! আগ্ৰা দেখা হ’য়েছে, দিল্লী দেখেছি, হিন্দুস্থানের বড় বড় সহর দেখেছি, কিন্তু বাবাজী ! তোমার ধূমঘাটের মত সহর বুঝি আর দেখবে না। চারিদিকে নদী, মাঝখানে দ্বীপের মতন পরীস্থান, দুরে নিবিড় জঙ্গল-সীমাশূন্য সুন্দরবন । তার ওপর আশ্বিনী পূর্ণিমা । প্ৰতাপ ! সত্য সত্য এ আমি কি দেখলুম। দূরে মন্দিরের পাশে যে সুন্দর মসজিদ আর গীর্জা দেখছি, ও কি তোমারই কৃত ? প্ৰতাপ । এক মায়ের পেটের তিন ভাই । যদি আমি ক’রে দিই, তাতে দোষ কি জনাব ! ইসাখাঁ । তোমারই যোগ্য কথা । তা এমন পবিত্র ধূমঘাট সহর ক’ৱছ, আমায় খবর দিতে তোমার কি হ’য়েছিল ? প্ৰতাপ। সপ্তাহমাত্র নগর-নিৰ্ম্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। আজি সবে মাত্র নগরের প্রতিষ্ঠা । তাই আপনাকে অগ্ৰে সংবাদ দেবার অবকাশ পাই নি। বিশেষতঃ, ছোটরাজাই এ কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। আমি এ, তিন মাস বাইরে বাইরে ঘুরেছি। ইসাখাঁ।” শুনলুম, এই তিন মাসের মধ্যেহ তুমি সমস্ত বাঙ্গালা জয় ক’রেছ । প্ৰতাপ। জয় করিনি। নবাব। বাঙ্গালার সমস্ত ভূইয়াদের দ্বারে গিয়ে আমি রত্ন ভিক্ষা ক’রে এনেছি। ইসাখী । কি রত্ন প্ৰতাপ ? প্ৰতাপ । তেঁাদের হৃদয় । হসাখী । ভাল, তা আমাকে জয় করতে গেলে না কেন ? প্ৰতাপ । আপনাকে ত বহুকাল জয় ক’রে রেখেছি। খুল্লতাত রাজা বসন্ত রায়ের বিনিময়ে এ রত্ন ত আমরা বহুদিন লাভ ক’রেছি। ইসাখা। তা ঠিক ব’লেছ তোমাদের কাছে আমি বহুদিন থেকে