পাতা:বঙ্গের প্রতাপ-আদিত্য - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম দৃশ্য যশোর-উপকণ্ঠ-মানসিংহের শিবির भान१ि९२ মান । না, আর নয়। এ প্রাণ রাখা আর কৰ্ত্তব্য নয। হিন্দুস্থানের সর্বত্র বিজয় লাভ ক’রে, শেষে বাঙ্গালায় এসে পীবাজিত হ’লুম ! { সমস্ত সৈন্য নষ্ট ক’রলুম। অন্নাভাবে আমার আৰ্দ্ধেক সৈন্য উন্মত্ত হয়ে প্ৰাণ বিসর্জন দিলে। ! কি পরিতাপ ! কি লজ্জা ! না, আর না । কোন মুখে আগ্ৰাব্য ফিয়াৰ ! কেমন ক’রে বাদশাহকে মুখ দেখা’ব । ন-জীবনধারণের আর কিছুমাত্র প্রযোজন নেই । এইখানেই জীবনের শেষ করি । ( আত্মহত্যার উদ্যোগ বেগে রাঘব রায় ও ভবানন্দের প্রবেশ ভবা । মহারাজ ! মহারাজ ! মান । কেও-ভবানন্দ ? ভবা । শীগগির আসুন – শীগগির আসুন । মান । কোথায ? কেন ? ভবা । যশোবেশ্বর আপনার মুখ চেয়েছেন ! নরাধম প্ৰতাপকে পরিত্যাগ ক’রেছেন । নরাধম গুরুহত্যা ক’রেছে । হাত থেকে তার “বিজয” অস্ত্ৰ খ’সে প’ড়েছে । নরাধম শক্তিহীন । এই অবসর । শীঘ্ৰ আসুন ! " भान। 7 जूभि कि द'ब्छ ! ভবা । এই দেখুন রাজা বসন্ত রায়ের পুত্ৰ ! বল,-বল, মহারাজের কাছে বল ! এই বেলা বলা ! রাঘব । মহারাজ ! আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে-আমার ভাই গেছে-মা গেছে! আমি কচু-কচু-কচুবনে লুকিয়ে বেঁচেছি।