পাতা:বঙ্গের প্রতাপ-আদিত্য - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/e বানরই আছে ; তবে হয় ত কোন কোন চিত্র রঞ্জিত করিবার সমম কবি ( বোধ হয়। ইচ্ছা করিয়াই ) রংটা একটু গাঢ় করিয়া ফেলিয়াছেন। আর একটী কথা । “প্ৰতাপ-আদিত্য” নাটকখানি এক হিসাবে আমাদের জাতীয় জীবনের ইতিহাস । বাঙ্গালীর শক্তি জগতে দুলভ, আবার বাঙ্গালীর দৌর্বল্যও চিরপ্ৰসিদ্ধ। বাঙ্গালী না পারে, এমন কাৰ্য্যই নাই, অথচ বাঙ্গালী-প্ৰবৰ্ত্তিত কোন মহাকাৰ্য্যেরই শেষ রক্ষা হয় না, কোথা হইতে চরিত্রগত দুর্বলতা ফুটিয়া উঠিয়া সমস্তই পাণ্ড করি যা দেয । এদেশের উপর এমন জগজ্জননীর কৃপা, এমন বুঝি আর কোথাও নাই। কিন্তু অভাগা আমাদের দোষে মাকে পদে পদে মুখ ফিরাইতে হয়। বাঙ্গালীজীবনের এই হৰ্ষ-বিষাদ-ভরা ইতিহাস, এই আলো ও ছায়ার অদ্ভুত সংমিশ্রণ, “প্ৰতাপ-আদিত্যে” অতি সুন্দরীরূপে অভিব্যক্তি হইয়াছে । বাঙ্গালী চেষ্টা করিলে কি করিতে পারে, আবার কি দোষে তাহার বহুকালের চেষ্টার ফল ব্যর্থ হহয়া যায়, তাহা নাটককার যথাসম্ভব চক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়া দিয়াছেন ! “এক বাঙ্গালী মহাশক্তি ; জ্ঞানে, বিদ্যায়, বুদ্ধিমত্তায়, বাকপটুতায, কাৰ্য্যতৎপরতায় বাঙ্গালী জগতে অদ্বিতীয়, মহাশক্তিমান সম্রাটেরও পূজনীয্য ; কিন্তু একত্র দশ বাঙ্গালী অতি তুচ্ছ, হীন হ’তেও হীন ; অন্য জাতির দশে কাৰ্য্য, বাঙ্গালীর দশে কাৰ্য্যহানি |”-ত সেলিমের এই উক্তিতে সার সত্য নিহিত আছে । বাঙ্গালীর সকলেই কৰ্ত্ত হইতে চান ; সুতরাং দশজন বাঙ্গালী একত্ৰ হইয়া কোন কাৰ্য্য করিতে হইলেই সর্বনাশ । “গোবিন্দ রায় গাজী সাহেবের অধীনে কাজ ক’য়তে চান না, রামচন্দ্র রাডার অধীনে যুদ্ধ ক’য়তে অনিচ্ছক”— তা তাতে দেশ উৎসন্ন যায় যাক। ইহার উপর ক্ষুদ্ৰপ্ৰাণসুলভ ঈর্ষা, স্বাথান্ধতা ও বিশ্বাস-ঘাতকতা এবং সর্বোপরি জ্ঞাতিবিরোধ আছে । আর कि फ्रांझे ? কিন্তু তথাপি বাঙ্গালীর ভবিষ্যৎ একেবারে অন্ধকারময় নহে। “বাঙ্গালী নিজের দুর্বলতা বুঝে।” বুঝে বলিয়াই এই