পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাণসী ও গোরক্ষপুর বিভাগ। a একজনও নাই। মির্জাপুর যেন পরিত্যক্ত পল্লীস্বরূপ অবস্থান করিতেছে। বারাণসীবিভাগের অন্তর্গত জৌনপুর এবং বালিয়া জেলাতেও চিকিৎসা এবং শিক্ষাবিভাগে বহুদিন হইতে বাঙ্গালীর আবির্ভাব হইয়াছে। ডাক্তার ষষ্ঠবর রায়, ডাক্তার কিশোরীমোহন সেন, ডাক্তার নীলকান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ অনেকেই কিছুকালের জন্য জৌনপুর প্রবাস করিয়া গিয়াছেন। বালিয়া গবৰ্ণমেণ্ট স্কুলের হেডমাষ্টার এখানকার খুব পুরাতন প্রবাসী। জৌনপুর ও বালিয়ায় চাকরী উপলক্ষে যে সকল বাঙ্গালী বাস করিতেছেন। তঁহাদের সংখ্যা এ বিভাগের অন্যান্য জেলা অপেক্ষা অনেক অল্প । বারাণসী বিভাগের পার্শ্ববৰ্ত্তী এবং নেপাল-রাজ্যের পাদমূলে স্থিত গোরক্ষপুর বিভাগেও বাঙ্গালীর সংখ্যা নিতান্ত অল্প নহে। ১৮৭২ অব্দে অর্থাৎ প্ৰায় অৰ্দ্ধশতাব্দী পূর্বে প্লোডেন (W. (}. Plowden, ) সাহেব যখন পশ্চিমোত্তর প্রদেশের সেন্সস গ্ৰহণ করেন, তখন সকল জেলার লোক সংখ্যাত হয় নাই। প্লোডেন সাহেবের গণনায় তখন বস্তী-জেলায় ৬ জন মাত্র এবং আজমগড়ে ২৫০ জন বাঙ্গালীর বাস ছিল। বর্তমানে যে এই সংখ্যার বৃদ্ধি হইয়াছে তাহা বলাই বাহুল্য। ১৩ বৎসর পূর্বে অর্থাৎ ১৮৯১ অব্দের সেন্সস গণনায় গোরক্ষপুরে ৩২৩ জন বাঙ্গালীর বাস ছিল। এক্ষণে গোরক্ষপুরে दश् বাঙ্গালীর বাস হইয়াছে। এখানকার বিদ্যাসাগর লাইব্রেরী, ফ্রেণ্ডস লিটারারি ক্লাব, ভূদেব বিদ্যালয় প্রভৃতি প্রবাসী বাঙ্গালীদিগের দ্বারাই স্থাপিত ও পৃষ্ঠপােষিত। স্থানীয় লব্ধপ্রতিষ্ঠ ডাক্তার বাবু, হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, জুবিলী হাইস্কুলের সুযোগ্য হেডমাষ্টার বাবু অঘোরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ সন্ত্রান্ত ও সুশিক্ষিত ব্যক্তিগণ এই সকল জনহিতকর অনুষ্ঠানের প্রবর্তক। এই খানেই নেপালীদিগের আরাধ্য মহাত্মা গোরক্ষনাথের সমাধি-বিরাজিত। গোরক্ষপুরের প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেকটা বঙ্গদেশের মত। এখানে গবৰ্ণমেণ্টের বিবিধ-বিভাগে এবং রেলদপ্তরে-উচ্চ ও নিম্ন পদে বহু বাঙ্গালী প্ৰবেশ করিয়াছেন।