পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠাইয়া দেন। পরে বাবাজী একবার এই সাধুত্ব মৃত্যুর সময় কেবল কিছুদিনের জন্য লক্ষ্মেী গিয়াছিলেন। তাহার পর আর কোথাও যান নাই। এলাহাবাদেও সে সময় অনেক সাধু ফকীর এবং যোগী ছিলেন। তন্মধ্যে কালীবাড়ীর কৃষ্ণানন ব্ৰহ্মচারী কল্যাণীদেবীর মন্দিরের নিকট “কুশল পৰ্ব্বত” পলীবাসী জ্ঞানদাস । বাবাজী, মুঠগঞ্জের সাধু দেবানন্দ, মহম্মদী সাহ, দরিয়া সাহ, ময়ন সাহ, লালখা, । দুন্দীপুর নিবাসী মীর সেকেন্দর আলী, “মাওআয়মা” গ্রামবাসী প্ৰসিদ্ধ দরবেশ মৌলবী জহুরউল্লা, মৌলবী সেরআলী, ফকীর সাহ, মহম্মদ আলী, খালুমিয়া, সোরাঙ , নিবাসী আমীর আলী সাহি, এবং যোগী রামসিং প্রমুখ অনেকেই তখন পৌরাণিক তীর্থ প্ৰয়াগে ও তন্নিকটবৰ্ত্তী গ্রামে বিরাজ করিতেছিলেন। বাবাজী তাঁহাদের - অনেকের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন। র্তাহারাও তঁহার আশ্রমে আগমন করিতেন। অবশেষে গুরুর আদেশক্ৰমে বাবাজী আশ্রমের বাহিরে আর পদার্পণ । করেন নাই। জীবনের শেষ কুড়ি বৎসর এইরূপে স্বীয় আশ্রমের মধ্যেই ছিলেন। । তখন দেশ বিদেশ হইতে সাধু সন্ন্যাসী ফকীর এবং শত শত ভক্ত আসিয়া তাহার | শান্তি-কুটীর অহরহ ধৰ্ম্মালাপ এবং ভগবানের নামে মুখরিত করিয়া তুলিয়াছিলেন। র্তাহার আশ্রমে বারমাসে তের পাৰ্বণ হইত। কিন্তু কখনও তজ্জন্য কাহারও নিকট অর্থসাহায্য গ্ৰহণ করেন নাই। তঁহার পেন্সনের টাকা দ্বারায় সমস্তই নিৰ্বাহ হইত। তাহার নিজের জন্য ব্যয় যৎসামান্তই ছিল। এক কথায় বলিতে । গেলে সাংসারিক সকল বিষয়ে মিতাচারের আদর্শ র্তাহার জীবনে পরিস্ফুট হইয়াছিল। অমিতব্যয়ী বিলাসী নবাব ওয়াজীদ আলী সাহের শাসন কালে । বিলাসকানন লক্ষ্মেী এর জলবায়ুর মধ্যে থাকিয়া, যাহা কিছু মোেহকর, যাহা নয়নরঞ্জক, যাহা কিছু মানবের হৃদয় মন সহজেই প্ৰলুব্ধ ও অভিভূত করে, সেই | সকলের নিত্যলীলার কেন্দ্রভূমিতে বৰ্দ্ধিত হইয়া যিনি সংসার বিরাগীর নীরস সাধনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, যিনি পাপরাজ্যের শত শত্ৰুবুহ ভেদ করিয়া মেঘমুক্ত । সুৰ্য্যের ন্যায় অকলঙ্ক চরিত্র লইয়া প্রকাশ পাইয়াছিলেন, তাঁহারই ত জীবন সকলের ১ তাহার মন্ত্রগুরু ছিলেন। প্রতি বৎসর গুরুপূজার দিন জননীর চরণে একখানি । নূতন বস্ত্র ও একটী টাকা দিয়া প্ৰণাম করিতেন। জননী তাঁহাকে আশীৰ্বাদ । করিয়াছিলেন, “རྩྭགི་ dari रुक्तैन्न। शेरव 6ष, माषे, তোমার নাম । ek बे