পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(2 ।। SYS তাহার চরণ-প্ৰান্তে আসিয়া শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন ; এমন কি কেহ কেহ হিন্দু । “প্ৰথানুসারে তঁাহার নিকট যোগ শিক্ষাও করিয়াছিলেন। বাবাজীর খৃষ্টাপাসক। শিষ্যবর্গের মধ্যে একজন জেমস সাহেব রোমান ক্যাথলিক ধৰ্ম্মমন্দিরে উপাসনায় । যোগ দিতেন, আবার বাবাজীর আশ্রমে আসিয়া তঁহার নিকট ধৰ্ম্মোপদেশ গ্ৰহণ | করিতেন। এই জেমস সাহেব হিন্দুভক্তের মত তুলসীদাসী রামায়ণ নিয়মিত পাঠ । করিয়া বাবাজীকে শুনাইতেন। বাবাজী মধ্যে মধ্যে দুরূহ শ্লোক গুলির আধ্যাত্মিক । ব্যাখ্যা করিয়া দিতেন। জন এণ্টনি মাটিনেলির পুত্ৰ জন জেমস স্যামুএল মাটিনেলিও বাবাজীর শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের । উকীল মিঃ সিমিয়নের পিতা বাবাজীর একজন ভক্ত ছিলেন এবং প্রায়ই র্তাহার | আশ্রমে গমন করিতেন। মিষ্টার রামসিং নামে একজন দেশীয় খৃষ্টান এখানে । শিক্ষকতা করিতেন। প্রায় ১১/১২ বৎসর হইল তােহাঁর भूङ्का श्छेम्नाएछ । डिनि७ ' বাবাজীর নিকট ধৰ্ম্মোপদেশ গ্ৰহণ করিতেন এবং তঁহার একজন অনুগত ৷ ভক্ত ছিলেন। তঁহার মুসলমান ভক্তের সংখ্যাও বড় অল্প নহে। এলাহাবাদ । হাইকোর্টের স্বনামখ্যাত ব্যারিষ্টার মহম্মদ আবদুল মজীদ মধ্যে মধ্যে বাবাজীকে । দর্শন করিয়া যাইতেন। স্থানীয় সুপ্ৰসিদ্ধ মুসলমান সাধু হবিবুল্লা সাহের পুত্র ফজল । মিয়া তাহার একজন প্রিয় শিষ্য। ইনি বাবাজীর অলৌকিক কীৰ্ত্তিসম্বন্ধে অনেক কথা আমাদিগকে জানাইয়াছেন। গুরু নানকের জীবনচরিতাপাঠকগণ অবগত আছেন, সেই মহাত্মা হিন্দু। মুসলমান এই উভয় সম্প্রদায়ের হৃদয় কতদূর অধিকার করিয়াছিলেন। র্তাহার | লীলাবসানে উভয়জাতির মধ্যে র্তাহার পূতদেহের অধিকারস্বত্ব লইয়া কিরূপ বিতণ্ড । হইয়াছিল, তাহাও তাঁহাদের অবিদিত নাই। কিন্তু সে আজ শত শত বৎসরের - কথা। এই বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে অমরধামের যাত্রী বঙ্গের এক দরিদ্র সন্তানকে | সুদূর প্রবাসের হিন্দু মুসলমান এবং খৃষ্টান কি ভাবে বিদায় দান করিয়াছেন, তাহা । জানিবার বিষয়। বাবাজীর পরলোক প্রাপ্তির কিছুদিন পূর্বে র্তাহার জনৈক শিষ্যকে । বলেন, “আর বেশীদিন শরীর থাকিবে না। * * * * যদি রাত্রে । হয় তবে কিছুই করিবে না। চুপে চুপে এই চারপাই (খাট) সহিত গঙ্গায় । }ভাসাইয়া দিয়ে, আর যদি দিনে হয় তবে যেমন প্ৰথা আছে করিবে কিন্তু কাহার | নিকট ভিক্ষা করিয়া বাহুল্য করিও না। আমার নিকট দশ টাকা আছে, :