প্রয়াগ। ১৩১ ৷৷ বলিয়া একটী প্ৰতিজ্ঞাপত্রে দস্তখত করিতে হইত। যে কন্যা বা বরপক্ষীয় এতদুভয়ের : মধ্যে প্ৰদাতার সামর্থের অতিরিক্ত অর্থগ্রহণ করা হইবে না-সম্প্রদাতা স্বেচ্ছায় 帖 যাহা দিবেন। তাঁহাই গ্ৰহণ করিতে হইবে। প্ৰতিজ্ঞাপত্রে তিন সহস্ৰ ব্যক্তি নাম । দস্তখত করিয়াছিলেন। কিছুকাল সভার কাৰ্য উত্তমরূপে চলিয়াছিল। " স্বজাতির প্রতি তাহার কেমন একটা আন্তরিক টান ছিল। বাঙ্গালী ছেলেদের শিক্ষার প্রতি সৰ্ব্বদা তাহার দৃষ্টি থাকিত। সময় এবং আরামের প্রতি লক্ষ্য না করিয়া অনেক ছেলেকে তিনি আনন্দের সহিত পাঠ বলিয়া দিতেন এবং নানা । প্রকারে তাহদের শিক্ষার সহায়তা করিতেন। কাশীর “বাঙ্গালীটোলা হাই । স্কুল” এর প্রতিষ্ঠাতৃগণের মধ্যে তিনি একজন প্রধান ছিলেন। এলাহাবাদ “এংলো বেঙ্গলী স্কুলের” তিনিই একরূপ প্রতিষ্ঠাতা। প্রয়াগদূত সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত । মধুসূদন মৈত্র মহাশয় ইহার অন্যতর স্থাপয়িতা এবং প্রথম সেক্রেটরী। ১৮৭৬ ৷ খৃঃ অব্দে শীতল বাবুর বাটিতে পাঁচজন মাত্র বাঙ্গালী বালক লইয়া একটী পাঠশালা খুলা হয়। বাবু শ্ৰীশচন্দ্র ঘোষ ঐ পাঠশালায় প্রথম প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৮৮২ অব্দে ছাত্রসংখ্যা চল্লিশ হইলে শ্ৰীযুক্ত মহেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় হেডমাষ্টার । নিযুক্ত হইয়া ৪ঠা নবেম্বর তারিখে ইহার পুনর্গঠন করেন। তখন বিদ্যালয়টীিকে । এণ্টে ক্ষস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণী পৰ্যন্ত বিভক্ত করা হয় এবং ‘বাঙ্গালা স্কুল” এই নাম । প্রদত্ত হয়। তখন নিম্নতম শ্রেণী হইতে ৪র্থ শ্রেণী পৰ্যন্ত বাঙ্গালায় শিক্ষা দেওয়া হইত। ইতিহাস, ভূগোল প্রভৃতি সমস্তই বাঙ্গালায় অধীত হইত। ১৮৮৭ খৃঃ অব্দে ইহা এণ্টেন্স স্কুলে উন্নীত হয় এবং সেই বৎসরেই প্ৰবেশিকা পরীক্ষার্থ প্রেরিত ৫ জন ছাত্রই উত্তীর্ণ হয়। এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র উত্তরকালে কৃতী । श्शेशाgछन । মহেশ বাবু বিদ্যালয়ের গৃহনিৰ্ম্মাণের প্রস্তাব প্রথমে উত্থাপিত করেন। তিনি এজন্য আসিষ্টাণ্ট সার্জন শ্ৰীযুক্ত তিনকড়ি মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সহযোগে প্রথমে চান্দা সংগ্ৰহ করেন। প্রায় ৫০০২ টাকা চাদ উঠিলে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষগণ । ঐ কাৰ্য স্বহস্তে গ্ৰহণ করেন। মহেশ বাবু এখানে অষ্টদশাধিক বর্ষকাল সুনামের . সহিত কৰ্ম্ম করিয়া অবসরগ্রহণ করেন। বিদ্যালয়গৃহে তঁহার একখানি প্ৰতিকৃতি । রক্ষিত হইয়াছে।। ৬/শীতলপ্রসাদ গুপ্ত এবং শ্ৰীযুক্ত মধুসূদন মৈত্র মহাশয়ম্বয়ের প্ৰতিকৃতি এই সঙ্গে রক্ষিত হইলে প্ৰতিষ্ঠাতৃদ্বয়ের পূতন্থতি চিরজাগারুক থাকিত। . .
