প্ৰয়াগ । , Ᏹ8Ꮼ অধ্যয়ন করিয়া, ১৮৮৩ অব্দের মে মাসে শিক্ষকতা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং লাহোর গভর্ণমেণ্ট স্কুলের দ্বিতীয় শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হন । এই সময় ট্রেণিং স্কুলের সংসৃষ্ট “মডেল স্কুল” বা আদর্শ বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ; কিন্তু শ্ৰীশবাবু এমনই লোকপ্রিয় ছিলেন এবং ছাত্ৰগণ ও তাঁহাদের অভিভাবকগণের হৃদয় এতদূর অধিকার করিয়াছিলেন যে যতদিন তিনি গভর্ণমেণ্ট স্কুলে ছিলেন, ততদিন নবপ্রতিষ্ঠিত মডেল স্কুলটি । আচল প্ৰায় হইয়াছিল। কোন ছাত্রই তাহাকে ছাড়িয়া অন্য বিদ্যালয়ে গমন করিতে প্ৰস্তুত ছিল না । তাহারা অবশেষে এইরূপ অভিপ্ৰায় ব্যক্তি করে যে, শ্ৰীশবাবুকে যদি ঐ নবপ্রতিষ্ঠিত স্কুলের হেডমাষ্টার করা হয়, তবেই তাহারা তথায় যাইবে, অন্যথা নহে। ছাত্ৰগণের এই অভিপ্ৰায় কাৰ্য্যে পরিণত হইলে বিদ্যালয়টির শ্ৰী ফিরিয়া যায়। শ্ৰীশবাবু তথায় সুব্যবস্থা, সংস্কার ও উন্নত প্ৰণালীর শিক্ষা প্ৰবৰ্ত্তন দ্বারা স্কুলটিকে প্রকৃতই “আদশস্কুলে।” পরিণত করেন। এই বিদ্যালয়টি এখনও বিদ্যমান আছে। এখন ইহার হেডমাষ্টার জনৈক ইংরেজ । . . লাহােরে অবস্থানকালে তিনি ষ্টুডেন্টস ক্লাব নামে একটী ছাত্রসমাজ প্রতিষ্ঠিত করেন এবং “ষ্টডেণ্টস ফ্রেণ্ড” নামে একখানি সাময়িক পত্রও বাহির করেন। এই সময় তিনি যে উর্দু ভাষায় একখানি প্রাকৃতিক ভূগােল রচনা করিয়াছিলেন তাহা তথাকার বিদ্যালয়ের পাঠ্য-তালিকাভুক্ত হয়। পঞ্জাবের সুপ্ৰসিদ্ধ রায় সাহেব গোলাবসিংহ শ্ৰীশবাবুর উক্ত সাময়িক পত্র এবং গ্রন্থ লইয়া স্বীয় যন্ত্রালয়ের কাৰ্য্যারম্ভ করেন। শ্ৰীশবাবু পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার সম্বন্ধে বহু চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং তা হাতে বহুলাংশে কৃতকাৰ্য্যও হইয়াছিলেন । তঁহার সময়ে altaics "Lahore Bengali School” rice at fitti, f.; fift ঐ স্কুলের সেক্রেটারী ছিলেন। স্কুলটি এখন নাই। শ্ৰীশবাবু যখন শিক্ষকতা করিয়াছিলেন সেই সঙ্গে আইন অধ্যয়নও করিতেছিলেন । তিনি ১৮৮৬ অব্দে এলাহাবাদে আসিয়া আইন পরীক্ষা দেন এবং তাহাতে উত্তীর্ণ হইয়া লাহােরের শিক্ষকতা কাৰ্য্য ত্যাগ করিয়া মীরাট আদালতে আইন ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ইহার তিন বৎসর পরে তিনি বেরেলীর অস্থায়ী । মুন্সেফ মনােনীত হন এবং ছয় মাস মুন্সেক্ৰী করিয়া ১৮৮৯ অব্দে এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওকালতী করিতে থাকেন। এখানে রায় লিখিবার জন্য সাঙ্কেতিক у о
