পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब9भ९४क्ष | dyrt. ৰূপগোস্বামী গোবিন্দদেবের বিগ্ৰহ আবিষ্কার করিবার পর স্বীয় তত্ত্বাবধানে মন্দির নিৰ্ম্মাণে চিত্ত সমৰ্পণ করেন। তঁহার এবং তঁাহার ভ্রাতা সনাতন গোস্বামী ‘দ্বারা বা পরবত্তী সময়ে ব্ৰজমণ্ডলে যে সকল মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তন্মধ্যে -সৌন্দর্ঘ্যে, গাম্ভীৰ্য্যে এবং স্থাপত্যশিল্পবিষয়ে এই গোবিন্দজার মন্দিরই সর্বপ্রধান। মথুরার পুরাবৃত্তলেখক গ্ৰাউস সাহেব প্রমুখ বহু যুরোপীয় ঐ মন্দিরের অসামান্য শিল্পনৈপুণ্য দর্শনে মুগ্ধ হইয়াছেন। এই মন্দির বাদশাহ আকবরের রাজত্বকালে অম্বরেশ্বর মানসিংহের অর্থে উক্ত গোস্বামীদ্বয়ের তত্ত্বাবধানে নিৰ্ম্মিত হয়। প্ৰথম ইহা পঞ্চচূড়াবিশিষ্ট ছিল। কথিত আছে সৰ্ব্বোচ্চ চূড়াটি দিল্লী হইতে দৃষ্ট হইত। একদা হিন্দুবিগ্ৰহচূৰ্ণকারী বাদশাহ আরঙ্গজেব দিল্লীতে বসিয়া উক্ত চূড়ান্থ আলোক দর্শনে অধীর হইয়া মন্দিরের মস্তক চূর্ণ করিবার জন্য ব্ৰজমণ্ডলে সৈন্যদল --প্রেরণ করিয়াছিলেন। যথাস্থানে তাহার বিস্তারিত বিবরণ প্রদত্ত হইবে। গোবিন্দজীর বিগ্ৰহ সৰ্ব্বপ্রথম আবিষ্কৃত হইলেও প্ৰবাদ আছে শ্ৰীৰূপ বৃন্দাবনে আসিয়া বৃন্দাদেবীর মন্দির প্রথমেই উদ্ধার করেন। ভক্তিরত্নাকরে আছে— “শ্ৰীৰূপে শ্ৰীবৃন্দা স্বপ্নািচ্ছলে জানাইল । ব্ৰহ্মকুণ্ড তাঁট হৈতে তারে প্রকাশিল ॥” । সে মন্দির এক্ষণে পুনরায় লুপ্ত হইয়াছে। ব্ৰজবাসীরা বলেন রাসমণ্ডল সন্নিহিত সেবাকুঞ্জে বৃন্দাদেবীর মন্দির ছিল। ভক্তিরত্নাকর মতে বৃন্দাবনের অন্যতম প্ৰসিদ্ধ বিগ্ৰহ রাধাদামোদর রূপ গোস্বামী কর্তৃক আবিষ্কৃত এবং ঐ মন্দির তাহার তত্ত্বাবধানে নিৰ্ম্মিত বলিয়া উক্ত শ্ৰীজীব গোস্বামী এই মন্দিরের সেবক ছিলেন । মতান্তরে জীব গোস্বামীই রাধাদামোদরের মন্দির প্রতিষ্ঠাতা। সনাতন গোস্বামীও রূপ গোস্বামীর ন্যায় বহুকষ্টে মদনমোহনের বিগ্ৰহ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। উক্ত আছে “মহাবিরক্ত সনাতন ভ্ৰমে বনে বনে । । প্ৰতিবৃক্ষে প্ৰতিকুঞ্জে রহে রাত্ৰিদিনে । মথুরামাহাত্ম্য শাস্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া। লুপ্ত তীৰ্থ প্রকট করে বনেতে ভ্ৰমিয়া৷ (চৈঃ চিঃ মধ্যলীলা ) “সনাতন গোস্বামীর অদ্ভুত বিলাস। মধ্যে মধ্যে করেন শ্ৰীমহাবিনে বাস ॥” ( ভক্তিরত্নাকর।)