পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রা বিভাগ । । §>(t যাইতে সাহস করিত না কিন্তু তিনি নিৰ্ভয়ে যদৃচ্ছ ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইতেন এবং তাহাতেই আনন্দলাভ করিতেন। র্তাহার এই নিৰ্ভীক ভাব বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধিই পাইয়াছিল। কিন্তু এরূপ নিশ্চিন্ত ভাবে চিরদিন কাটে না । সংসারের ভার তঁহার মস্তকে পতিত হইলে তঁাহাকে কৰ্ম্মান্বেষণ করিতে হইল। তিনি অনুপসহরে তাহার ভগ্নীপতি শান্তিপুর-নিবাসী বাবু চিন্তামণি বসুর নিকট গমন করিলেন। এখানে বিদ্রোহীরা অতি নিকটবৰ্ত্তী হওয়ায় তাহার ভগ্নীপতি আতি সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় বাস করিতেছিলেন। কথিত আছে যমুনাদাস বাবু সৎসাহস ও তীক্ষুবুদ্ধিবলে বিদ্রোহীদিগকে অতি অল্প কালের মধ্যে সহর ছাড়িয়া যাইতে বাধ্য করেন। অনুপসহরে চাকরির সুবিধা করিতে না পারিয়া তিনি আগ্রা ফিরিয়া আসিলেন এবং পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেণ্টে মুহুরির কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। অল্পদিনেই তঁহাকে মৈনপুরী যাইতে হইল। কিন্তু এখানকার জলবায়ু তঁহার সহ না হওয়ায় তিনি কৰ্ম্মত্যাগ করিয়া এলাহাবাদ চলিয়া গেলেন । তিনি এস্রাজ ও সেতার প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। এলাহাবাদে তঁাহার বহু শিষ্য ও বন্ধু জুটল। কিন্তু উপার্জনের বিশেষ সুবিধা হইল না, সুতরাং তিনি সপরিবারে বঙ্গদেশে চলিয়া গেলেন। পরে কলিকাতায় রুগ্ন হইয়া পড়ায় তিনি বারাণসী যাইতে বাধ্য হন এবং এখানে স্বাস্থ্যলাভ করিয়া লক্ষ্মেী সুলতানপুর প্রভৃতি অযোধ্যার নানা স্থানে চাকরির অন্বেষণ করিয়া বেড়ান। এই সময় তাহার জননী, কনিষ্ঠ ভ্রাতা, বিধবা ভগ্নী এবং শিশু ভাগিনেয় দেশে অবস্থান করিতেছিলেন। কিন্তু সহানুভূতির অভাবে সকলে বহু ক্লেশ পাইতে থাকেন এবং জ্ঞাতিবর্গের নির্দয় ব্যবহারে মনস্তাপ সহ করেন। পরিবারবর্গের এই অবস্থা, এদিকে তিনি উদরান্ন সংস্থানের জন্য লালায়িত হইয়া বিদেশে বিদেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন! | একদা সুলতানপুরের পথিপার্থে এক বৃক্ষতলে বসিয়া যমুনাদাসবাবু একাকী আপনার দুঃখের দিন ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে গাঢ় চিন্তায় মগ্ন আছেন এমন সময় অনতিদূরে সুলতানপুরের জমীদারের কোন কৰ্ম্মচারী ও জনৈক প্রজার মধ্যে কোন বিষয় লইয়া বিবাদ হইতেছিল। চীৎকার শুনিয়া তৎপ্ৰতি তাহার छूछेि আকৃষ্ট হইল। তখন তিনি উভয় পক্ষের বাদানুবাদ শুনিয়া তাহদের বিবাদ ভঞ্জন করিয়া দিতে চাহিলেন ; উভয়ে সম্মত হইলে তিনি ক্ষেত্রের ফসলের এরূপ উচিত মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিলেন যে দুই পক্ষই সন্তুষ্ট