পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রা বিভাগ । २२१ নৰ্ম্মাল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ গ্ৰহণ করিয়া পাটনায় গমন করেন। এ স্থানে অবস্থান কালে ইনি আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ; এবং তঁহার আত্মীয় প্যারীমোহন বাবুর আহবানে আগ্রা হাইকোটে ওকালতী করিতে প্ৰবৃত্ত হন। কিন্তু বিহারের স্কুল পরিদর্শক ডাক্তার ফ্যালন তঁাহাকে কোনমতে ছাড়িতে চাহিলেন না এবং অবিনাশ বাবুর কৰ্ম্ম পরিত্যাগ পত্র প্রত্যাৰ্পণ করিয়া তাহার বেতন বৃদ্ধি করিয়া দিলেন। ফ্যালন সাহেবের অনুরোধ তখন এড়াইতে না পারিয়া তিনি ছুটী লইলে অবিনাশবাবু কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া ১৮৬৫ সালের নভেম্বর মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওকালতী আরম্ভ করিলেন। এখানকার হাইকোর্ট তাহাকে ১৮৭০ খৃঃ অব্দের আগষ্ট মাসে আগ্রার দ্বিতীয় শ্রেণীর মুন্সেফ পদ প্ৰদান করেন। অতীব দক্ষতার সহিত কৰ্ম্ম করায় অল্প সময়ের মধ্যে র্তাহার ঘন ঘন পদোন্নতি লাভ হয়। তীক্ষবুদ্ধি সুবিচারপদ্ধতি এবং ন্যায়নিষ্ঠায় অবিনাশ বাবু তাহার সময়ে অদ্বিতীয় হইয়া উঠিলেন Succession to Hatrhas Raj, Beswan Principality এবং Hasna in Raj প্রভৃতি বড় বড় রাজ্যসংক্রান্ত মোকদ্দমায় সুবিচার করিয়া তিনি বিশেষ খ্যাতিলাভ করেন। আপোসের মোকদ্দমায় হাইকোটের বিচারপতিগণ তঁহার রায় পাঠ করিয়া ভূরি ভূরি প্রশংসা করিয়াছিলেন। অবিনাশ বাবু আট বৎসর আগ্ৰায় মুন্সেক্ৰী করেন। তৎপরে তিন বৎসর আগ্রার সবজজের কাৰ্য্য করেন এবং পুনরায় ১৮৮৯ হইতে মৃত্যুকাল পৰ্যন্ত আগ্রাতেই ছোট আদালতের বিচারপতির সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এইরূপে তিনি আগ্রার “অবিনাশবাবু” বলিয়া প্ৰসিদ্ধিলাভ করেন। এখানে কত শত প্রবাসী পান্থ আসিয়া অবিনাশবাবুর আশ্রয়ে বিশ্রামলাভ করিয়া গিয়াছেন। তাহার সময়ে আগ্ৰায় পদার্পণ করিয়াছেন। অথচ তঁহার আতিথ্য স্বীকার করেন। নাই, এমন তীর্থযাত্রী বা পৰ্য্যটক আতি বিরল। সুবিচারক বলিয়া তাহার কিরূপ প্রতিপত্তি হইয়াছিল একদিনকার একটি ঘটনার উল্লেখ করিলে বেশ বুঝা যাইবে। ১৮৮৬ খৃঃ অব্দে এলাহাবাদে কোন সভায় প্রধান বিচারপতি সার জন এজ অবিনাশ বাবুকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছিলেন, যে এ রকম দেশীয় জজ আছেন যে তাহার স্বীয় মকদ্দমা থাকিলে তিনি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভরের সহিত র্তাহাদের নিকট বিচারের নিমিত্ত যাইতে প্ৰস্তুত আছেন। অবিনাশবাবুর জীবদ্দশায় যখনি কোন জটিল মকদ্দমা উপস্থিত হইয়াছে, তখনি তিনি তাহার গ্ৰন্থি ছেদন করিতে্যু