পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীরাট বিভাগ । R(రి কলঙ্ক নরঘাতী তৈমুরের তাণ্ডব নৃত্যে কোয়েল প্ৰকম্পিত ও তাহার অকুণ্ঠধার তরবারিতে রক্তরঞ্জিত হইলেও এখানে হিন্দুরাজন্যবর্গের পূর্বপ্রতাপ বহুদিন অক্ষুন্ন ছিল। ষোড়শ শতাব্দীতে লোদী বংশীয় সম্রাট মহম্মদশাহ কোয়েলকে ‘মহম্মদগড়’ নামে অভিহিত করেন। ১৭১৭ অব্দে ইহার শাসনকৰ্ত্ত সাবিত খাঁ স্বীয় নামে ইহাকে “সাবিতগড়’ বলিয়া অভিহিত করেন। ১৭৫৭ অব্দে জাটসর্দার সূৰ্য্যামল ভরতপুর হইতে আসিয়া কোয়েল অধিকার করেন, এবং ইহার নাম ‘জটিগড়” রাখেন। শেষে নিজ দি খাঁ জাটিগড় জয় করিলে, ইহা ‘আলীগড়’ নামে প্ৰসিদ্ধ হয়। কিন্তু দৈত্যপতি কোলের রাজধানী এখনও কোয়েল তহশীল ও কোয়েলগড় নামে উক্ত হইতেছে। আলীগড় পুনরায় মুসলমানদিগের অধিকৃত হইলে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে দীর্ঘকালব্যাপী সমরানল প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠে, এবং ২৫ বৎসরের ঘোরতর সংগ্রামে উভয় জাট ও আফগান পক্ষ দুর্বল হইয়া পড়ে। এই সুযোগে ১৭৮৪ অব্দে উভয় পক্ষকে বঞ্চিত করিয়া মহারাজা সিন্ধিয়া কোয়েল অধিকার করেন এবং ১৮০৩ অব্দ পৰ্য্যন্ত স্বীয় আয়ত্তে রাখিতে সমর্থ হন । এই সময়ের মধ্যে কোয়েল দুর্গ দুর্ভেদ্য এবং অজেয় বলিয়া প্ৰসিদ্ধি লাভ করে। এইখানেই তখন দ্য বােয়াঞ, (De Boigne) g{3|toto orofo{\ সৈন্যদল গঠন ও তাহাদিগকে সমরশিক্ষাদান করিয়াছিলেন। ১৮০২ অব্দে এইখানেই সিন্ধিয়া, নাগপুরপতি ও হোলকার এই ত্ৰিশক্তি মিলিত হইয়া ইংরেজ, নিজাম ও পেশবার বিরুদ্ধে সন্ধি করিয়াছিলেন। এইখানেই ফরাসী সেনাপতি পেরে ( Perron ) ইহঁদের মিলিত সৈন্যের অধিনায়কত্ব গ্ৰহণ করেন। কিন্তু ১৮০৩ অব্দে লর্ড লেক এ সমস্তই ব্যর্থ করিয়া ঘোরতর যুদ্ধে আলীগড় অধিকার করেন। কথিত আছে এই দুর্গ অধিকার করিতে ইংরেজপক্ষকে বিলক্ষণ বেগ পাইতে হইয়াছিল। সে যাহা হউক অল্প দিনের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হইলে বন্দোবস্তাদি কাৰ্য্যের আরম্ভ হয় এবং সেই সুত্রে কতিপয় বাঙ্গালী কৰ্ম্মচারী এখানে আহূত হন। ইহাই আলিগড়ে বাঙ্গালী উপনিবেশের সুত্রপাত। সৰ্ব্বপ্রথমে কে কে আসিয়াছিলেন বহু অনুসন্ধানেও স্থির করা দুষ্কর হইলেও প্রথমাগতদিগের মধ্যে বাবু শ্যামলাল মিত্র, বাবু রামকানাই চট্টোপাধ্যায় এবং তঁাহার ভ্রাতা বাবু রামধন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বলিয়া শুনা যায়। বর্তমান “সবজী-বাজারে? একটী অট্টা