মিরাট বিভাগ। Ritst অনেকেই নীলের কুঠা করিয়াছিলেন। তৎপরে তারিণীবাবু শস্যাদি ক্রয়বিক্রয়ের ও অন্যান্য দ্রব্যের বাণিজ্য ব্যাপারে ব্যাপৃত হন। খলিসানিতে তাহার পিতা ৬/রামকানাই বাবুরও শস্যাদির বিস্তীর্ণ বাণিজ্য ছিল এবং কালনা, ফরাশডাঙ্গা ও ভদ্ৰেশ্বরে চাউলের গোলা ছিল। পরিশেষে তারিণীবাবু বিস্তীর্ণ জমিদারী খরিদ করিয়া স্থানীয় ভূম্যধিকারী সম্প্রদায়েয় অন্যতম স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৮৩৯ অব্দের জুলাই মাসে প্রায় ২০ বৎসর চাকরি করিয়া পেন্সন গ্ৰহণ করেন। তারিণী বাবুর তিন পুত্ৰ—ঈশ্বরচন্দ্র, ঈশানচন্দ্র এবং শান্তচন্দ্র; সকলই আলীগড়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। জ্যেষ্ঠপুত্র ঈশ্বরবাবু ১৮৪০ অব্দে স্থানীয় ডাকমুন্সির কাৰ্য আরম্ভ করেন এবং ১৮৫৩ অব্দে কালেক্টরির ট্রেজারি হেডক্লার্কের পদ প্ৰাপ্ত হন। তিনি অসুস্থতা নিবন্ধন কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া দেশে চলিয়া যান এবং প্রায় আড়াই বৎসর পরে পুনরায় আলীগড়ে আসিয়া তৎকালীন কম্পেনসেশন কমিশনার মিঃ ব্রামলীর অধীনে কৰ্ম্ম লইয়া বেরেলীতে অবস্থান করিতে থাকেন। কিন্তু নীলকুঠী ও জমীদারীর কাৰ্য্য স্বয়ং পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার মানসে এ কৰ্ম্মও তিনি ত্যাগ করেন। ঈশ্বরবাবু বঙ্গসাহিত্যের একজন অনুরাগী ছিলেন। কাশীপ্রবাসী ৬/কাশীদাস মিত্র মৌস্তুফী মহাশয় ইহারই ব্যয়ে তাহার “শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী” গ্ৰন্থ ১৫৯৩ শকে এলাহাবাদের প্রয়াগদূত যন্ত্রে মুদ্রিত ও কাশী সোনারপুরা পল্লীস্থ নিজ ভবন হইতে প্ৰকাশিত করিয়াছিলেন। ইনি আলীগড়ের অনাররী ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। ইহার মধ্যমত্ৰাতা ৬ ঈশানবাবু ১৮২৩ অব্দে আলীগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি স্বকীয় চেষ্টায় ইংরেজী শিক্ষা করিয়াছিলেন এবং তৎকালীন সাহেবগণের নিকটও শিক্ষা সম্বন্ধে সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ঈশানবাবু ১৮৪২ অব্দের ১লা ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ ৭২ বৎসর পূর্বে পোষ্ট অফিসে কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন এবং পরে যখন অশ্ব ও গোডাক SRfÉS ER SAA Bullock Train Clerk 8 Road ClerkHR *Í 28 হন এবং কৰ্ম্মদক্ষতার জন্য ১৮৫৫ অব্দে ডেপুটী পোষ্টমাষ্টারের পদে উন্নীত হন। ইনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার ন্যায় পৈতৃক জমীদারী বৃদ্ধি করেন। ইহাদের জমিদারীর মধ্যে ভুকরাউলী, কালীনদীর তীরবর্তী গােয়ালরা, বারৈ, রোহনা, সফেদপুর, ভূতপুর, ওখলান, জারারা, আলেদাদপুরনিময়ী, সিয়াখাস, মোনি-কি নগরিয়া এবং বলভদ্রপুর উল্লেখযোগ্য। এই সকল স্থান ও কতিপয় নীলের কুঠী ইহঁতে “ ইহাদের বিলক্ষণ আয় ছিল। এক্ষণে কোন কোন জমিদায়ী হঁহাদের
