পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV8 বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । বিনোদ মহাশয় রাণাঘাটে আসিয়া উপস্থিত হন। র্তাহার প্রথমা পত্নীর মৃত্যুতে তিনি রাণাঘাট-নিবাসী ৮মধুসুদন মিত্রের কন্যাকে বিবাহ করেন। ভক্তিবিনোদ মহাশয় শ্বশুরালয়ে আসিলে মধুসুদন বাবু জ্ঞানলিপ্ত বালক যোগেন্দ্রনাথের পরিচয় দেন এবং তঁাহার লেখাপড়ার ভার গ্ৰহণ করিতে অনুরোধ করেন। কেদার বাবু শ্বশুরের অনুরোধক্রমে যোগেন্দ্রনাথকে পাটনায় লইয়া যান। তিনি তখন পাটনায় ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। এখানে এই উচ্চপদস্থ শিক্ষানুরাগী সাহিত্যসেবী উদারপ্ৰাণ ভক্তবৈষ্ণবের অনুগ্রহে পালক যোগেন্দ্ৰনাথের সুশিক্ষা লাভের সকল সুবিধা হইল এবং ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ উন্মুক্ত হইল। এই সময় হইতে বালকের অধ্যয়নস্পৃহা ও অধ্যবসায়ের কথা চিন্তা করিলে মনে হয় জগতের সৰ্ব্বত্রই প্ৰতিভার রাজ্য একই নিয়মে শাসিত হয় ; উন্নতির পথ একই মালমসলায় প্ৰস্তুত হয় ; এবং সিদ্ধপুরুষগণ শৈশব হইতেই দারিদ্র্যের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইতে পথের বাধা বিঘ্ন অতিক্ৰম করিতে করিতে একই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন । যখন আমরা বিভিন্ন দেশের ছোট বড় প্ৰতিভাশালী স্বয়ং সিদ্ধপুরুষগণের জীবনচরিত পাঠ করি ; যখন দেখি সেই একাগ্ৰতা, অধ্যবসায় ও কষ্টসহিষ্ণুতা, সেই সাধুতা ও চরিত্রের নিম্মলতা, সেই অনশন অনিদ্রা, সেই ঝড় বৃষ্টি মাথায় করিয়া জল কাদা ভাঙ্গিয়া মাঠ ময়দান পার হইয়া বিদ্যালয়ে গমন ও ভিক্ষুকের রত্ন আহরণের ন্যায় জ্ঞানাৰ্জন করিয়া হৃষ্টচিত্তে গৃহে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন, সেই রাত্ৰি জাগরণ করিয়া রাজপথের আলোকস্তম্ভতলে অথবা ধনীর সিংহদ্বারের আলোকে দাড়াইয়া অধ্যয়ন, সেই দরিদ্র দুঃখীর জন্য বেদনানুভব ; এবং যখন দেখি শতকষ্ট শতদুঃখ দুরবস্থার মধ্যে ও সেই প্ৰফুল্পভাব ও স্থির লক্ষ্য ; তখন বুঝি মানবের অবস্থায় কিছুষ্ট বাধে না । দারিদ্র্য মানুষের বহু সুযোগ কাড়িয়া লইলে ও এবং অভাবের তাড়না মানুষকে শিশুর উত্থান পতনের ন্যায় SBBB S DBDBD S DBDBDS DBBDD KuD DBB BDuBDD KYD TuDBDD OY পণ্ড করিয়া দিতে পারে না । বালক যোগেন্দ্রনাথের পক্ষে ও তাঁহাই হটিয়াছিল। কয়েক বৎসর পরে ভক্তিবিনোদ মহাশয় পাটনা হইতে স্থানান্তরে বদলি হইয়া ধান। সুতরাং যোগেন্দ্রনাথকে আপনার কোন বন্ধুর বাসায় থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়া দেন। তাহার শিক্ষার ব্যয় অবশ্য পূৰ্ব্ববৎ তিনিট বহন করিতে থাকেন। যে বাসায় যোগেন্দ্র বাবু উঠিয়া যান তথার রাত্রি নয়টার পর সদর দরজা ব্যতীত