পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমায়ু বিভাগ এবং উত্তরাখণ্ড । રજે.જે কাঁচবসান এবং কারুকাৰ্য্যশোভিত সেই স্মৃতিমন্দিরের তিন দিকের দেওয়ালে এক এক ছত্র করিয়া বড় বড় অক্ষরে খোদিত আছে ;- . “ধন মান যশ যত সকলই অসার ভাই বন্ধু দারা সুত কেহ নহে। কার নয়ন মুদিলে জগৎ সব অন্ধকার” ; উত্তরদিকের দেওয়ালে আছে-“৬/শশিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩ই আশ্বিনা”। পঞ্চরত্ন মঠ স্থাপনার পর তিনি কলিকাতা, ভাগলপুর, বাঁকীপুর, লক্ষে, নৈমিষারণ্য, হরিদ্বার, হৃষীকেশ প্রভৃতি ভ্ৰমণ করিয়া ১৯০৩ অব্দে জয়পুর, বৃন্দাবন, চিত্ৰকুট, এলাহাবাদ এবং পর বৎসর মান্দ্ৰাজে ক্ষেপণ করিয়া এক্ষণে নাইনিতাল হইতে ৭ মাইল দূরবত্তী হিমাচলগৰ্ভস্থ ভাওয়ালী নামক স্থানে আশ্রমপ্রতিষ্ঠা করিয়া তথায় বাস করিতেছেন। কাশী অবস্থানকালে ভেলুপুরায় তিলভাণ্ডেশ্বর নামক স্থানে জনৈক প্ৰাচীন বৈদান্তিক সন্ন্যাসীর সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়। এই বৃদ্ধ সন্ন্যাসী ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। তঁহার জন্ম শ্ৰীহট্টে। ১৬ বৎসর বয়সে তিনি সন্ন্যাসী হন। তঁহার পিতৃদত্ত নাম নবীনচন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী । তিনি ৩২ বৎসর তিব্বতে ছিলেন । এজন্য তঁহাকে অনেকে “তিববতী বাবা” বলিয়া থাকে। তিনি কয়েক বৎসর চীন ও শ্যামদেশেও অবস্থিতি করিয়াছিলেন। তিব্বতী বাবা ত্ৰিশ বৎসর ব্ৰহ্মদেশে যাপন করেন। তথায় তাহার নাম ছিল “ফুঙ্গিবাবা”। প্ৰায় ১২১৩ বৎসর হইতে তিনি মাদ্রাজে অবস্থিতি করিতেছেন। তথায় লোকে তঁহাকে “হকীম সাহেব” বলিয়া জানে। এইরূপে কোথাও তিব্বতী বাবা, কোন স্থানে ফুঙ্গি বাবা, কোথাও পাগল পরমহংস এবং কোথাও বা পরমহংস বাবা বলিয়া তিনি পরিচিত। মাদ্রাজে। তিনি হাকীম সাহেব ; কারণ তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিসকলের উৎকৃষ্ট ঔষধ অবগত আছেন এবং সময় সময় প্রয়ােগও করিয়া থাকেন। তিনি মাদ্রাজ যাইবার পূৰ্ব্বে লক্ষীে ছিলেন। তামাকান্ত বাবু তখন হরিদ্ধারে ছিলেন। তিব্বতী বাবা হরিদ্বার হইতে খামাকান্ত বাবুকে আনাইয়া লক্ষ্মেীয়ে বহু সন্ন্যাসী নিমন্ত্রিত করিয়া মহা সমারোহের সহিত সর্বশ্রেণীর সন্ন্যাসীর সমক্ষে তঁহার “সোহহং স্বামী৷” এই নামকরণ করেন। তদবধি সন্ন্যাসী শ্যামাকান্ত বা সাহহং স্বামী বলিয়া পরিচিত। তিব্বতী বাবা সোহহং স্বামীকে কয়েকটী কঠিন . ::, :ր * “ •ኑ