পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০০ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী। রোগের ঔষধ ও তাহার প্রস্তুতকরণ প্ৰণালী শিক্ষা দেন। তিববতী বাবার বয়স এক্ষণে ১৭১ বৎসর। ব্ৰহ্মদেশে জনৈক কুলী ফুঙ্গীবাবার প্রসাদ লাভে সমর্থ হয়। সেই কুলী ক্ৰমে কুলীর কণ্টাক্টর হইয়া এক্ষণে লক্ষপতি হইয়াছে। সেই ব্যক্তি ইহাকে প্রতিমাসে ২৫১ টাকা করিয়া পঠাইয়া দেয়। সোহহং স্বামী এখনও বেশ সবলকায় ও সুস্থ আছেন ; এবং তঁহার দেহ ব্যায়ামাদি সৰ্ব্বপ্রকার কায়িক শ্রম পরিত্যাগ হেতু পূৰ্ব্বাপেক্ষা কিঞ্চিৎ স্থূল হইলেও তাহার শক্তির হ্রাস হয় নাই । তিনি বলেন,-“জাতিগত বর্ণগত আশ্রমাগত ভেদজ্ঞান অবিদ্যার কাৰ্য্য। আমি, স্ত্রী বা পুরুষজাতি, দেহ-সম্বন্ধ হেতু জীবের এরূপ অনুভব হয়। বাস্তবিক আত্মার জাতিগত প্ৰভেদ নাই। আমি ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্য, শূদ্ৰাদি বর্ণান্তর্গত, এই জ্ঞানও অজ্ঞানতা । কারণ আত্মা কোন বর্ণগত নহেন। আমি ব্ৰহ্মচারী, গৃহস্থ, বানপ্ৰস্থ বা সন্ন্যাসী ইহাও সংস্কারগত অজ্ঞানতামাত্র। বাস্তবিক আত্মার কোন আশ্রম নাই, উহা নিত্যমুক্ত, নিত্যশুদ্ধ, সদ্বস্তু। সুতরাং জাতিগত বর্ণগত এবং আশ্রমাগত প্ৰভেদ নাই। আত্মজ্ঞ ব্যক্তির কিছুই অনন্ন অর্থাৎ অখাদ্য নাই, একই আত্মা জীবজন্তু সৰ্ব্বদেহে বিভিন্নাকারে বিভিন্ন বস্তু ভোজন করিতেছে। সেই আত্মাকে অহং ইত্যাকার জ্ঞানে যে উপলব্ধি করিবে তাহার কিছুই খাদ্যাখাদ্য বিচার থাকিতে পারে না।” ইহা ব্যতীত “বিপ্ৰান্নং শ্বপচান্নং বা যম্মাৎ কৰ্ম্মাৎ সমাগতং” ইত্যাদি স্মৃতি হইতেও সন্ন্যাসীর ভেদাভেদ জ্ঞানরহিত্যসূচক বহুশাস্ত্ৰ প্ৰমাণে তিনি বলেন যে প্ৰাচীন স্মৃতি সকল মাংসাদিভোজন ব্যবস্থাই করিয়া গিয়াছেন ; কোন শাস্ত্রে মাংস Regjiff ব্যবহারে নিষেধ নাই। তিনি গীতার সপ্তদশ অধ্যায়ের “আয়ু:স্বত্ত্ব বলারোেগ্যাদি।” বচন প্রমাণে বলেন, যাহার যাহাতে অভিরুচি এবং যাহা যাহার আয়ুং, সত্ত্ব, বল, আরোগ্য এবং সুখস্মৃতিবৰ্দ্ধক, তাহাই তাহার পক্ষে সাত্বিক আহার। এ সম্বন্ধে তিনি কাহাকেও বিধি বা নিষেধবাচক উপদেশ দেন না । বাল্যকাল হইতে যাহা যাহার অভ্যাস ও যাহাতে অভিরুচি তাহার সেই মত আহারই স্বাস্থ্যকর। ধৰ্ম্মধৰ্ম্মের সঙ্গে খাদ্যাখাদ্যের কোন সংস্রব নাই। ইহাই তেঁাহার মত। তঁহার মতে সন্ন্যাসীর জন্য খাদ্যাখাদ্যের যেমন বিচার নাই, গৃহীর পক্ষেও মৎস্য মাংসাদি আহার শাস্ত্রসন্মত। অদ্বৈতবাদীদিগের ব্যাখ্যা অনুসারে বেদান্তের যাহা সারধৰ্ম্ম,