পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমায়ু বিভাগ এবং উত্তরাখণ্ড । \9گo Sy জলে স্নান করাইয়া বিঘদল চন্দন দিয়া পূজা করিয়া প্ৰদক্ষিণান্তর কোল দিতে হয়। মন্দির অতিশয় অন্ধকার অষ্ট দিকে অষ্ট স্তম্ভ আছে। ঐ স্তম্ভ বেষ্টিয়া প্ৰদক্ষিণ করিয়া কেদারনাথকে কোল দিয়া বারম্বারা প্ৰদক্ষিণ । কেদারনাথের মন্দির বরফে ডুবিয়াছিল অন্যাবধি মন্দিরের ভিতর বরফ যায় নাই সৰ্ব্বদা জল পড়িতেছে এই বরফের জন্য ৬/ শ্ৰীশ্ৰীবাদরি নারায়ণের ৬/ কেদারনাথের দ্বার ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়ার পর অক্ষয় তৃতীয়া পৰ্যন্ত ছয় মাহ রুদ্ধ থাকে। মন্দিরের ভিতর এক এক ঘুতের প্রদীপ জালিত করিয়া তাক মধ্যে রাখিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া, অখিমঠ ও যোশীমঠ দুই স্থানে গদি আছে। ঐ গাদিতে ছয়মাস পূজা হয়। কেদারনাথের মন্দির অখিমটে মন্দিরের নিকট মনুষ্য কি কোন জীব জন্তু পক্ষ্যাদি কিছু থাকিবার ক্ষমতা হয় না, ঐ ছয় মাস দেবগণে পূজা করেন। দেবগণে পূজা করার এই চিহ্ন পাওয়া যায় যে ভিতরে ঐ ঘূত প্ৰদীপ জ্বলিতে থাকে, আর অর্ঘ্যের চাউল ও নীলকমল দিয়া যে পূজা হয় তাহা ঐ মন্দির মধ্যে থাকে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলা হইলে টিহিরীর রাজা অগ্ৰে দৰ্শনার্থে মন্দিরে প্রবেশ করেন, রাজা দর্শন করিবা-মাত্র ঐ প্ৰদীপ নিৰ্বাণ হয়। প্ৰদীপের বাতি গুল যাহা থাকে তাহা, আর ঐ দেবপূজিত অর্ঘ্যের চাউল ও কমল পুষ্প রাজা সকল লয়েন পরে অর্ঘ্যের চাউল ও প্ৰদীপের গুল বাতি রাজা কাহাকেও দেন না, কমল পুষ্প যাত্রীদিগকে নিৰ্ম্মাল্য দিবার জন্য রাওলের নিকট কেদারনাথের ভাণ্ডারে থাকে। অর্ঘ্যের চাউলের অতি অল্প ভাগ ভাণ্ডারে আইসে, অনেক স্তব স্তুতিতেও যাহার প্রতি অনুগ্রহ হয় তাহাকে দেন। মন্দিরে ঘূত প্ৰদীপ দিবারাত্ৰ জ্বলিতেছে, আলো না হইলে কিছু দৃষ্ট হয় না। নাট মন্দিরে পঞ্চ পাণ্ডবের মূৰ্ত্তি আছে আর মন্দিরের ভিতর বাহিরে কত দেব দেবীর, মুনি ঋষিগণের মূৰ্ত্তি, আর নাট মন্দিরের মধ্যস্থলে নন্দিকেশ্বর আছেন। মন্দির প্রদক্ষিণ করিয়া সম্মুখে আসিতে বরফে স্পন্দন রহিত হয়। কেদারের মন্দিরের উত্তর দিক হইয়া মহাপন্থী এখান হইতে তিন ক্রোশ উত্তরমুখে গমন করিয়া যাইতে পারিলে হিমলিঙ্গেশ্বর শিব, যাহাকে পরশ করিবা-মাত্ৰ দেহ বজ্ৰতুল্য হইয়া সকায়াতে স্বৰ্গে গমন করিতে পারে, কিন্তু এই তিন ক্রোশ পথ যাওয়া অতি দুষ্কর, তাহার কারণ দিবারাত্র বরফ জলের ভায় বারিকর্ষণ হইতেছে ক্ষণমাত্র বিশ্রাম নাই, কেবল ঘোর ঘোর কুৰূটির ন্যায়। অন্ধকার হইয়া বর্ষিতেছে। নিয়ে বিপরীত বরফ উপরে বরফ বরিষণ এই শীতে