পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Crity 2we MÖdd শসাহেব তাহার পক্ষপাতী হইলেন। ১৮৪০ অব্দে কৰ্ণেল মহোদয়কে গবৰ্ণমেণ্টের অনুজ্ঞাক্ৰমে কাবুল যাত্ৰা করিতে হয়। যাইবার সময় সরকারী কৰ্ম্ম ব্যতীত তাহার কয়েকটী সাংসারিক বিষয়ের তত্ত্বাবধান করিবার ভার কালীবাবুর উপর ন্যস্ত করিয়া যান। ফিরিয়া আসিয়া সমুদয় কাৰ্য্য সুচারুরূপে সম্পাদিত হইয়াছে দেখিয়া কালী বাবুর উপর যৎপরোনাস্তি সন্তুষ্ট হন এবং অতঃপর তঁহার সহিত বন্ধুর ন্যায় ব্যবহার করেন । কয়েকজন কুমন্ত্রী নবাব ওয়াজীদ আলী সাকে একবার পরামর্শ দেয় যে “মানমন্দিরের বাড়ীকে রাজপ্রাসাদ করিলেই ঠিক হয় ; কারণ গ্রীষ্মের সময় ইহার “তহ খানা” (মৃত্তিকাভ্যন্তরস্থ গৃহ) অতিশয় মনোরম ও সুশীতল হয়” ইত্যাদি। এই সূত্রে নবাব একদা মানমন্দির পরিদর্শন করিতে আসেন। কালী বাবু তখন কাৰ্য্যে ব্যাপৃত ছিলেন। নবাব তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলে তিনি জ্যোতির্বিদ্যা ও যন্ত্রাদি সম্বন্ধে অনেক বুঝাইয়া দিলেন। নবাব তাহাতে অত্যন্ত গ্ৰীত হইয়া পূৰ্ব্বসঙ্কল্প ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। কৰ্ণেল উইলকক্স কিছুদিন পরে পরলোক গমন করেন। তঁহার স্থান অধিকার করিবার উপযুক্ত পাত্র তখন না থাকায় মানমন্দিরের দপ্তর উঠিয়া যায় এবং কালীবাবু তাহার আত্মীয় ভৈরব বাবুর নিম্নস্থ নায়েব খাজাঞ্জীর পদ প্ৰাপ্ত হন। কয়েক বৎসর পরে ভৈরব বাবুর মৃত্যু হইলে কালীবাবুই তাহার পদে স্থায়ী হন। জেনারেল আউটরাম তখন রেসিডেণ্ট ছিলেন। কালীবাবু তাহার একজন কৰ্ম্মচারী তইলেও তাঁহাকে বন্ধুভাবে “দেখিতেন । রেসিডেন্সী এবং নবাব সরকারের কাজকৰ্ম্ম বেশ শান্তিতে নিৰ্বাহ হইতেছিল, এমন সময় বড়লাট লর্ড ডালহৌসী জেনারেল আউটরামের প্রতি রাজাজ্ঞা প্রেরণ করেন যে, তিনি যেন অযোধ্যার নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করেন এবং প্রদেশের ভার নিজহস্তে গ্ৰহণ করেন। তাহার কারণ “জীবকুলের অভিসম্পাতিস্বরূপ নবাবের শাসনকাৰ্য্যের আর অধিক প্রশ্ৰয় দিলে ঈশ্বর ও মানবের নিকট ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্টকে অপরাধী হইতে হইবে।” নবাব সরকারের উচ্ছেদসাধন করিয়া জেনারেল বাহাদুর ইংলণ্ড গমন করিলে সার হেনরী লরেন্স পঞ্জাব হইতে আসিয়া অযোধ্যার চীফ কমিশনার হন। ইনি কর্ণেল শ্লীম্যান ও জেনারেল আউটরামের স্থায় কালীবাবুকে ৰন্ধুভাবে দেখিতে লাগিলেন। নূতন শাসনপ্রণালী বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত