অযোধ্যা প্ৰদেশ । €8(ሱ পাঠান এবং ফোড়া অস্ত্ৰ করিতে বলেন। ডাক্তার মহাশয় নিমিষের মধ্যে সাতিশয় vদক্ষতার সহিত ফোড়া অস্ত্ৰ করিয়া বাধিয়া দেন। সেনাপতি সৰ্ব্বসমক্ষে তখন ডাক্তারকে ধন্যবাদ দিয়া বলেন যে তিনি বড়ই আরাম পাইলেন। স্বচক্ষে সৰ্ব্বাধিকারী মহাশয়ের অস্ত্ৰচিকিৎসা দেখিয়া এবং সেনাপতির মুখে তঁহার প্রশংসা স্বকৰ্ণে শুনিয়া সৈন্যগণ আনন্দে কোলাহল করিয়া উঠে এবং তৎক্ষণাৎ হাইলাণ্ডারগণ র্তাহাকে কঁধে করিয়া নাচিতে নাচিতে লইয়া - शाश ! গাজীপুরে অবস্থিতি করিবার কালে সিপাহী-বিদ্রোহের দিন ঘনাইয়া আদিতেছিল। এমনই দিনে একদিন তিনি মুন্সেফ ( পরে সব জজ ) বাবু কাশীনাথ বিশ্বাস এবং অপর এক ভদ্রলোকের সহিত বৈকালে গঙ্গার ধারে পদচারণ করিতেছেন এমন সময় কয়েকজন সিপাহী তাহদের সম্মুখ দিয়া চলিয়া গেল। অথচ কেহই তাহাদিগকে সেলাম (Salute ) করিল না। ইহারা তিনজনেই উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, বিশেষতঃ সৰ্ব্বাধিকারী মহাশয় জনসাধারণের খুব প্রিয় এবং সম্মানিত। সন্মান প্রদর্শন দূরে থাক সেদিন সিপাহীদিগের মধ্যে একজন কাণনাথ বাবুকে লক্ষ্য করিয়া বিদ্রপোক্তিতে বলিয়া উঠিল “আরে মুন্সেফোয়া, আব, কেয়া হোগা, বড় যে ডিগ্ৰী ডিসমিস হোতী হায় ?” সুৰ্য্যকুমার বাবুর মনে তৎক্ষণাৎ আসন্ন দুর্ঘটনার আশঙ্কা জন্মিল। তিনি ভাবিলেন এইবার সত্য সত্যই আগুন লাগিয়াছে। নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিবার আর সময় নাই। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করিয়া দিলেন এবং আত্মরক্ষার্থ স্বয়ং উপায় অবলম্বন করিলেন। তিনি সরকারী চিকিৎসালয়টি শত্রুর আক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য নৌকা হইতে চিনির ও ময়দার বস্তা নামাইয়া ও স্তুপাকারে সাজাইয়া চতুর্দিক ঘিরিয়া লইলেন। প্রথমে সাহেবেরা তাহার আশঙ্কা অমূলক মনে করিয়া সাবধান হয়েন নাই। কিন্তু দুদিন যখন উপস্থিত হইল। তখন তাহারা পূৰ্ব্ব হইতে সুরক্ষিত ডিস্পেন্সরীতেই আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন এবং ডাক্তারের দূরদর্শিতার জন্য ভূয়সী প্ৰশংসা করিলেন। প্রশংসাকারীদিগের মধ্যে তদানীন্তন সহকারী ম্যাজিষ্ট্রেট পরে ছোটলাট সার ষ্টয়ার্ট বেলী মহােদয় প্রধান ছিলেন। “গাজীপুরে শান্তি স্থাপিত হইবার পর লক্ষ্মেী উদ্ধারার্থ জেনারাল হ্যাভলককে যাইতে হয়। তিনি পামার সাহেবকে তঁহার রেজিমেণ্টের জন্য একজন সুদক্ষ
