পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w968 বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । তাহাই নহে। তিনি সকলকে সমাদৃষ্টিতে দেখিতেন। কি ধনী, কি দরিদ্র সকলের প্রতি তঁহার সমান যত্ন ও মনোযোগ ছিল। অর্থলালসা, তাহার কৰ্ত্তব্য, সৌজন্য এবং ধৰ্ম্মবুদ্ধি হইতে বিচলিত করিতে পারে নাই। ধৰ্ম্মে তিনি একেশ্বরবাদী ও সমাজে সংস্কারপ্রিয় ছিলেন। কোন বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত বলিয়া তিনি কখন আপনার পরিচয় দেন নাই । তিনি একজন পাক্কা কংগ্রেসওয়ালা এবং ইংরেজ , শাসনের পক্ষপাতী রাজভক্ত প্ৰজা ছিলেন। তবে তঁহাতে রাজভক্তি জাহির করিবার একটা বাতিক ছিল না। তাহার মৃত্যুতে লক্ষ্মৌ-প্রবাসী অনেক বঙ্গ, সন্তান বিদ্যাসাগর লাইব্রেরী গৃহে সমবেত হইয়া এক শোকসভা করেন এবং লক্ষেীয়ের জনসাধারণ অন্যত্র এক বৃহতী সভা আহবান করিয়া তাহার প্রতি সকলের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও প্রীতি প্ৰকাশ করেন। এই সর্বসম্প্রদায়িক সভায় যিনি সভা পতির কাৰ্য্য সম্পাদনা করিয়াছিলেন। তিনি বৰ্ত্তমান সময়ে ভারতবর্ষ মধ্যে সমগ্ৰ মুসলমান সম্প্রদায়ের সর্বপ্রধান হকীম বলিয়া স্বীকৃত। সেই মহামান্য হাকীম আবদুল আজীজ সাহেব প্রমুখ সমাজের মুখপাত্ৰগণ ডাক্তার নবীনচন্দ্রের গুণানুকীৰ্ত্তন করিয়া তাহার জন্য শোকপ্ৰকাশ করেন। উক্ত সভাস্থলে সুপ্ৰসিদ্ধ ডাক্তার রায় রামলাল চক্ৰবৰ্ত্তী, খা বাহাদুর ডাক্তার আবদর রহীম খাঁ প্ৰমুখ পদস্থ ব্যাক্তিগণ ও জনসাধারণ, ডাক্তার নবীনচন্দ্ৰ মিত্রের নাম চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিবার উপায় নিৰ্দ্ধারক সমিতি সংগঠিত করেন। ইহাদের পর কপিলবস্তু ও পাটলিপুত্রের আবিষ্কৰ্ত্তা প্রত্নতত্ত্ববিৎ পূৰ্ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় ১৮৭০ অব্দে লক্ষেী প্রবাসী হন। জীবনচরিত সম্বন্ধে তিনি প্রবাসী সম্পাদক মহাশয়কে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, সেই পত্র হইতে কঁহার সংক্ষিপ্ত জীবনী এখানে उंकुउ श्रुंना :- “পাণিহাটী—১৪ই জুন, ১৯০৩। সুপ্রিয় রামানন্দ বাবু মহাশয়, আমাকে ক্ষমা করিবেন ; আমি ঠিক সময়ে আমার জীবন-চরিত লিখিতে পারি নাই। কারণ আমার অৰকাশ অতি অল্প, বিশেষতঃ আমার জীবনে কিছুই অসাধারণ নাই । আমার বয়স প্রায় পঞ্চাশ হইবে । ছেলেবেলা আমি নাকি বড় দুরন্ত ছিলাম। যতদূর মনে পড়ে, আমি বড় খেলায় মত্ত থাকিতাম। লেখাপড়ার