পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যা প্ৰদেশ । (©d ዓ তখন সার চালর্স এলিয়ট, বঙ্গীয় লাট সাহেব, আমাকে কলিকাতায় আনাইয়া যাদুঘরে (museum এ) পুরাতত্ত্বাধ্যক্ষ করেন। ১৮৯১-৪ পৰ্যন্ত বেহার ও উড়িষ্যায় পুরাতত্ত্ব করি। পরে ১৮৯৭-৮ সালে পাটনায় গিয়া প্ৰাচীন পাটলিপুত্র অনুসন্ধানে অনেক খনন ও আবিষ্কার করি। পাটলিপুত্র রিপোর্ট ও গবৰ্ণমেণ্ট ছাপে। পরে ডাক্তার ফুহরার কৰ্ম্মচ্যুত লইলে তাহার পদে আমি ১৮৯৯ সালে লক্ষ্মেী যাই। আমাকে কপিলবস্তু আদি আবিষ্কার করিতে নেপাল-তরাইয়ে পাঠান হয়। গোরক্ষপুরের উত্তরে তালিবার উত্তরে তিলোরা কোটে আমি কপিলবস্তুর স্থির নির্ণয় করি। পরে রুমিনদেই নামক স্থানে বুদ্ধদেবের জন্মস্থানের অনুসন্ধান পাই। পর বৎসর ভারত গবৰ্ণমেণ্ট আমার নেপাল রিপোর্ট সচিত্র ছাপায়। তাহাতে আমার নাম বিলাত পৰ্যন্ত হইয়াছে । পরে আমি বঙ্গীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগে কৰ্ম্ম পাই। তথা হইতে গত বৎসরে সিমলা লাহোর আদিতে গিয়াছিলাম। এখনো বঙ্গীয় কৰ্ম্মে আছি এবং বেহার, বঙ্গ, উড়িষ্যা ও আসামে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি। সাধারণ ভাবে পুরাতত্ত্ব করিতেছি। পাটলিপুত্র রিপোর্ট লিখিবার সময়ে অশোক-সম্রাট-বিষয়ে বিশেষ অনুসন্ধান করিতে হইয়াছিল। তদ্বারায় জানিলাম যে ইয়োরোপীয় পণ্ডিতগণ যে সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, তাহা মহা ভুল। অশোকের সময় ২৭০ বৎসর খৃষ্টাব্দপূৰ্ব্বে নহেতাহা ৩২৫ বৎসর এবং মৌৰ্য্যবংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্ৰগুপ্ত গ্রীকদের Sandracottus নহে। অশোকই Sandracottus ছিলেন। এ বিষয়ে এক পুস্তক লক্ষেীয়ে মুদ্রাঙ্কিত করি এবং এক্ষণে পুনরায় লিখিতেছি। অধ্যাপক রীস ডেভিডস এ বিষয়ে আমার প্রশংসা করিয়াছেন । শ্ৰীপূৰ্ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। " ( ه -اوا-8لا প্ৰবাসী সম্পাদক মহাশয় লিখিয়াছেন,- “স্বনামধন্য আবিষ্কৰ্ত্তার নাম শুনিলেই আমাদের কেমন একটা জাকাল চেহারা দেখিবার আশা হয়। বাহিরে আসিয়া দেখিলাম, একটি অতি সাদাসিদে, খৰ্ব্বকায়, দীর্ঘশিখাধারী (কারণ তিনি নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন ), প্রৌঢ় ভদ্রলোক বসিয়া আছেন। পূৰ্ণবাবু দেখিতে শুষ্ক ও শীর্ণ ছিলেন। খুব ঝাঁঝাল ও স্বাধীনচেতা লোক ছিলেন। বিধাতা তাহাকে চাকরীর জন্য গড়েন নাই। তিনি