পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*)Գo বঙ্গের বাহিয়ে বাঙ্গালী । বাবু গৃহে আইন অধ্যয়ন করিতে থাকেন এবং অল্পকালের মধ্যে হাইকোর্ট প্লীডারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া প্ৰতাপগড় জেলা আদালতে ওকালতী ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ইহার কিছুকাল পরে তিনি পাশ্ববৰ্ত্তী জেলা খেরীতে গিয়া বাস করেন। খেরীর আদালত আফিস প্রভৃতি সমস্ত ইহার প্রধান সহর লখীমপুরে অবস্থিত। “আউধ-রোহিলখণ্ড” রেলপথে এখানে আসিতে হয়। জেলাটী ক্ষুদ্র, শিক্ষাসমাজ প্রভৃতি সম্বন্ধে এ স্থান এখনও বহু পশ্চাতে পড়িয়া আছে ; কুমারচন্দ্র বাবুর আগমন কালে ত নিতান্তই অনুন্নতািজিছল। ১৫১৬ বৎসর এখানে চিনির কারখানা, কাগজ, মাদুর, চ্যাটাই প্রভৃতি প্ৰস্তুত, কারণোপযোগী ঘাসের কারবার ও কৃষি, গবাদি পশুপালন ও বৃদ্ধি এবং বনবিভাগীয় কৰ্ম্মের সূত্রপাত হওয়ায় ইহার উন্নতিলক্ষণসমূহ প্ৰকাশ পাইলেও তখন ইহা নিবিড়বনজঙ্গলপরিপূর্ণ ও হিংস্ৰজন্তুসমাকুল ছিল। যদিও সেই সময় জঙ্গল হইতে শালাৰ্কাষ্ঠ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাইত এবং এখনও তাহার বিস্তৃত ব্যবসায় সহিয়াছে, তথাশি এখানে প্রবাসী বাঙ্গালীর আকর্ষণের বস্তু বিশেষ কিছুই ছিল না। এই কারণে সময়ে সময়ে এখানকার উৎকৃষ্ট আবাদী জমি নামমাত্র খাজনায় পাওয়া যায় দেখিয়া বহু পূর্ব হইতে কোন কোন বাঙ্গালী ভূসম্পত্তি করিয়া স্থানীয় বাসস্থাপনের প্রয়াস পাইয়াও কেহ কৃতকাৰ্য হইতে পারেন নাই। একমাত্ৰ কুমারচন্দ্র বাবুই এখানে প্ৰথম স্থায়ী বাসস্থাপন করেন। স্থানীয় আদালতে র্তাহার প্রসার বৃদ্ধি ও প্রখ্যাতি, জনসাধারণের মধ্যে সন্ত্রম প্রতিপত্তি এবং স্থানীয় ভুরতালুকের তালুকদারদিগের সহিত সৌহৃদ্যই র্তাহার পক্ষে প্ৰধান আকর্ষণের বিষয় ছিল এবং তাহাই তেঁাহার খেরী-প্রবাসের মূল। তিনি যখন লখীমপুরে আগমন করেন, তখন এখানে বাবু প্ৰসাদীনারায়ণ নামে জনৈক ডেপুটী পোষ্ট-মাষ্টার ছিলেন। তিনি সিপাহী-বিদ্রোহের সময় বিশ্বস্ত ডাকিপেয়াদাদিগের দ্বারা গোপনে বিপন্ন রাজপুরুষদিগের নিকট বিদ্রোহিগণের গতিবিধির সংবাদ প্রেরণ করিতেন। দেশে শান্তি স্থাপিত হইলে, গবৰ্ণমেণ্ট তঁহাকে পুরস্কারস্বরূপ "রঞ্জীৎনগর” জমিদারী দান করেন। কুমারচন্দ্র বাবুর্তাহার নিকট হইতে এই জমিদারী ক্রিয় করিয়া স্থানীয় জমিদারগণের অন্যতম হইয়াছিলেন। প্রায় ২৫ বৎসর সুষশের সহিত ওকালতী করিয়া। ১৮৯৯ অব্দে কুমারচন্দ্র পরলোকগমন করেন। তঁহার অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্র তখন রজীৎনগরের জমিদারী করিয়া সপরিবারে প্রবাসবাস উঠাইয়া স্বীয় ভ্রাতাদিগের নিকট পূর্ববঙ্গের